হত্যালীলার ঘটনা আবছা মনে আছে অভিযুক্ত মার্কিন সেনার!
ভোররাতে ২টি গ্রামে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে শিশু, মহিলা নির্বিশেষে ১৬ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করা হল। এরপর ১১টি মৃতদেহ জড়ো করে পুড়িয়ে দেওয়া হল। এত কিছুর পরেও সেই রাতের ঘটনা নাকি আবছা মনে আছে এই হত্যালীলায় অভিযুক্ত মার্কিন সেনা রবার্ট বেলস-এর।
ভোররাতে ২টি গ্রামে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে শিশু, মহিলা নির্বিশেষে ১৬ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করা হল। এরপর ১১টি মৃতদেহ জড়ো করে পুড়িয়ে দেওয়া হল। এত কিছুর পরেও সেই রাতের ঘটনা নাকি আবছা মনে আছে এই হত্যালীলায় অভিযুক্ত মার্কিন সেনা রবার্ট বেলস-এর। এমনটাই দাবি বেলস-এর আইনজীবী হেনরি ব্রাউনের।
নিজের মক্কেলের সঙ্গে প্রথমবার দেখা করার পর ব্রাউন জানিয়েছেন, সেই রাতের ঘটনা অস্পষ্ট মনে আছে বেলস-এর। এমনকী সেনা ছাউনি থেকে বন্দুক নিয়ে বেরিয়ে ছিল কি না, সেটাও অভিযুক্ত মার্কিন সেনার মনে নেই। তবে সেদিন রাতে কিছু একটা যে ঘটেছিল, সে বিষয়ে বেলস-এর আবছা মনে পড়ছে বলেই দাবি ব্রাউনের। চলতি সপ্তাহেই বেলস ও তাঁর দলের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে কথা বলা হবে বলেও জানিয়েছেন অভিযুক্ত সেনার আইনজীবী। নিরীহ গ্রামবাসীদের হত্যার অভিযোগে রবার্ট বেলস`কে আপাতত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আটক করে রাখা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই সম্ভত তার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হবে।
প্রসঙ্গত, ১১ মার্চ ভোররাতে কান্দাহার প্রদেশের পঞ্জওয়াই জেলার অ্যালেকোজাই ও নাজিবান গ্রামে এক মার্কিন সেনা এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে হত্যা করে ৯টি শিশু-সহ ১৬ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে। গ্রামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, একজন মার্কিন সেনা গ্রামে এসে একের পর এক বাড়ির দরজায় লাথি মারতে থাকে। গ্রামবাসীরা বেরিয়ে এলে সে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। এরপর ১১টি দেহ এক জায়গায় জড়ো করে পুড়িয়ে দেয়। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কারজাই জানান, এই ঘটনা অমানবিক ও ইচ্ছাকৃত। ন্যাটো-র তরফেও ঘটনার নিন্দা করা হয়। ঘটনার পরই আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইকে ফোন করে দুঃখপ্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এরপরই ঘটনায় অভিযুক্ত মার্কিন সেনা রবার্ট বেলস`কে আটক করা হয়।