পিছিয়ে ‌যাচ্ছে ইমরানের শপথগ্রহণের তারিখ!

নির্বাচনে জালিয়াতির অভি‌যোগ তুলে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা ইমরানের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছে। এর মধ্যেই ইমরান খানের শপথগ্রহণ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়ে গেল। তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি আগেই জানিয়েছিল আগামী ১১ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন ইমরান খান। তবে এখন শোনা ‌যাচ্ছে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে ১৪ কিংবা ১৫ অগাস্ট।

Updated By: Aug 4, 2018, 06:14 PM IST
পিছিয়ে ‌যাচ্ছে ইমরানের শপথগ্রহণের তারিখ!

নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্বাচনে জালিয়াতির অভি‌যোগ তুলে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা ইমরানের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছে। এর মধ্যেই ইমরান খানের শপথগ্রহণ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়ে গেল। তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি আগেই জানিয়েছিল আগামী ১১ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন ইমরান খান। তবে এখন শোনা ‌যাচ্ছে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে ১৪ কিংবা ১৫ অগাস্ট।

পাকিস্তানের কেয়ারটেকার আইনমন্ত্রী আলি জাফর সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি ও কেয়ারটেকার প্রধানমমন্ত্রী নাসির-উল-মুলক চান ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হোক দেশের স্বাধীনতার দিন অর্থাৎ ১৪ অগাস্ট। কারণ নির্বাচনের ২১ দিনের মধ্যেই ন্যাশান্যাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশন বসতে হয়। আলি জাফর আরও জানিয়েছেন, ১১ কিংবা ১২ অগাস্ট বসছে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশন। সেদিনই নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন-এজবাস্টনে প্রথম টেস্টে হার বাঁচাতে পারল না বিরাটের ভারত  

এদিকে, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশ ঠিক কবে বসবে তা এখনও ঠিক হয়নি। ফলে ‌যদি ১১ অগাস্ট ‌যদি অধিবেশন বসে তাহলে ইমরান শপথ নিতে পারেন, ১৪ অগাস্ট। আবার ১২ অগাস্ট অধিবেশন বসলে শপথগ্হণ অনুষ্ঠান হবে ১৫ অগাস্ট। ফলে দেশের ২১তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান কবে শপথ নেবেন তা এখনও নিশ্চিত নয়।

অন্যদিকে, ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ‌যোগ দিতে পারেন নভ‌জ্যোত সিং সিধু, সুনীল গাওস্কর, কপিল দেব ও আমির খান।  শুধু তাই নয়, পিটিআই প্রধানমন্ত্রী মোদীকেও শপথে আমন্ত্রণ জানাবে এমন কথা শোনা ‌যাচ্ছিল। তবে প্রধানমন্ত্রীকে সরকারিভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সবই এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। তবে আমির খান জানিয়েছেন তিনি ব্যস্ত, ইমরানের শপথে ‌যেতে পারবেন না। সংবাদ মাধ্যমের খবর ইমরান নিজেও চাইছেন তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হোক খুবই সাদামাটা।

আরও পড়ুন-এটিএম জালিয়াতি রুখতে তত্পর ক্রেতা সুরক্ষা দফতর, সোমবার ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে বৈঠক  

উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি ১১৬ আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দল হিসেবে সামনে এসেছে। সরকার গঠন করতে গেলে ইমরানের চাই ১৩৭টি আসন। নির্দল সহ অন্যান্য দলের সঙ্গে জোট করতে হচ্ছে ইমরানকে। নির্বাচনে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ পেয়েছে ৬৪টি আসন। পাশাপাশি পিপিপি দখল করেছে ৪৩টি আসন।

ইমরান খানের বিপুল ভোটে জয়লাভ করাতে দেশে এখন নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ইমরান বিরুদ্ধে সেনার সাহা‌য্য নিয়ে ভোটে জেতার অভি‌যোগ উঠছে। পাশাপাশি, তালিবানদের সঙ্গেও তিনি সম্পর্ক রেখে চলেছেন বলে জল্পনা। এনিয়ে জলঘোলা শুরু করে দিয়েছে বিরোধীরা। অনেকেই ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ‌যোগ দেবে না বলেও হুমকি দিয়েছে। ফলে প্রধানমন্ত্রী হলে সংসদে ইমরানকে বেশ বেগ পতে হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।

.