Tablighi Jammat: সমাজের জন্য বিপজ্জনক! সৌদি আরবে নিষিদ্ধ তবলিঘি জামাত
তবলিঘি জামাত সম্পর্কে সৌদি সরকারের তরফে এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, এটি হল সন্ত্রাসবাদের একটি প্রবেশপথ
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়ে দিল্লিতে তবলিঘি জামাত নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। অভিযোগ ছিল বিদেশ থেকে আসা তবলিঘি জামাতের সদস্যরা দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজ থেকে করোনা ছড়িয়েছেন। এবার সেই তবলিঘি জামাতকে নিষিদ্ধ করল সৌদি আরব সরকার।
সৌদি আরবের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স দফতরের মন্ত্রী ডা আব্দুললতিফ আল সেখ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে একথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি শুক্রবার জুম্মার নামাজে তবলিঘি জামাত নিয়ে মানুষকে সতর্ক করে দিতে মসজিদের ইমামদের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, তবলিঘি জামাতকে নিষিদ্ধ করে সরকারের তরফে বলা হয়েছে, এটি হল সন্ত্রাসবাদের একটি প্রবেশ পথ।
তবলিঘি জামাতের পাশাপাশি নিষিদ্ধ করা হয়েছে দাওয়া(Da'wah) নামে আরও একটি সংগঠনকেও। মন্ত্রী টুইটে জানিয়েছেন, মসজিদে ইমামদের তাদের ভাষণে উল্লেখ করা উচিত এরা কীভাবে সমাজের পক্ষে বিপজ্জনক। ১৯২৬ সালে তৈরি হয় এই দাওয়া নামে এই সংগঠনটি।
তবলিঘি জামাত সম্পর্কে সৌদি সরকারের তরফে এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, এটি হল সন্ত্রাসবাদের একটি প্রবেশপথ। এদের বিপদ সম্পর্কে মানুষকে বোঝান। এদের ভুলগুলো তুলে ধরুন।
আরও পড়ুন-Lakkhir Bhander: গোয়াতেও এবার 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' তৃণমূলের! মাসিক ভাতা বাংলার থেকে অনেক বেশি
উল্লেখ্য, তবলিঘি জামাত ও দাওয়া দুটোই সুন্নি মুসলিমদের সংগঠন। অন্যদিকে, সৌদি আরবের অধিকাংশ মানুষ আহলে হাদিস মতাদর্শের অনুসারী। দুই পক্ষই ইসলামের অনুশীলন আরও বেশি শুদ্ধ করার পক্ষপাতী হলেও দুই শিবিরের মধ্যে একটা সংঘাত রয়েছে। গোটা বিশ্বে তাদের ৩৫০-৪০০ মিলিয়ন অনুসারি রয়েছে বলে দাবি সংগঠনের। সংগঠনের দাবি করা হয়, তাদের লক্ষ্যই হল ধর্মীয় বিষয়ের উপরে জোর দেওয়া এবং অত্যন্ত কড়া ভাবে রাজনীতি এড়িয়ে চলা।