Taliban Warns Pakistan: এবার কি পাকিস্তান আক্রমণ করবে তালিবান? ইসলামাবাদকে কড়া হুমকি আফগানিস্তানের...
Taliban Warns Pakistan: আফগান তালিবানের সঙ্গে টিটিপির ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ বহুদিন থেকেই। মাসদুয়েক আগে গত বছরের নভেম্বরে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সমাপ্তি টানে টিটিপি। আর তার পরই তারা পাকিস্তানে হামলা জোরদার করে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাকিস্তানকে ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ ও উসকানিমূলক কথাবার্তা’ এড়িয়ে চলতে বলল আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন।
দিন কয়েক আগে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেছিলেন, আফগানিস্তানে জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) আস্তানা রয়েছে। এটুকু বলেই থেমে যায়নি পাকিস্তান। তারা এ-ও বলেছে, এই আস্তানা নিশানা করে হামলা চালাবে পাকিস্তান! একথা শুনে খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছে আফগানিস্তান। কড়া প্রতিক্রিয়াও দিয়েছে আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন পাক সেনাকর্তার 'হানি ট্র্যাপে'র অভিযোগ, বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানি অভিনেত্রীর
রানা সানাউল্লাহর এ কথার প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবারই কড়া প্রতিক্রিয়াও জানান আফগান তালিবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। একটি ট্যুইটার পোস্টে দেওয়া বিবৃতিতে জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, পাকিস্তান-সহ সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায় আফগানিস্তান। তারা এ-ও বলেছে, পাশাপাশি কাবুল তার এই লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে সবরকম উপায়ের উপরই বিশ্বাস রাখে।
আরও পড়ুন: Elon Musk's Twitter: মাস্কের দুর্দশা! ভাড়া বাকি পড়েছে, রান্নাঘরে তালা, ওয়াশরুমে নেই টয়লেটপেপারও...
প্রসঙ্গত, আফগান তালিবানের সঙ্গে টিটিপির ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ বহুদিন থেকেই রয়েছে। মাসদুয়েক আগে গত বছরের নভেম্বরে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সমাপ্তি আনে টিটিপি। আর তার পরই তারা পাকিস্তানে হামলা জোরদার করে।
জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, এটা দুঃখজনক যে, পাকিস্তানি কর্মকর্তারা আফগানিস্তান সম্পর্কে মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছেন। তালিবান মুখপাত্র বলেন, আফগানিস্তানের মাটি যাতে পাকিস্তান বা অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে (ভুল ভাবে) ব্যবহৃত না হয়, এজন্য তাঁরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ আরও জানান, আফগানিস্তান তার লক্ষ্যের ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কিন্তু তার মানে এই নয়, অন্যেরা যা খুশি তাই বলে যাবে। পাকিস্তানকেও ভিত্তিহীন আলোচনা ও উসকানিমূলক কথাবার্তা এড়িয়ে চলতে হবে, এটা তাদেরও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কারণ, এই ধরনের কথাবার্তা কারও জন্যই ভালো নয়।