প্রসেসড চিকেনের পেছনের গল্প, যা শূনলে আঁতকে উঠবেন
কেএফসি-র চিকেন। নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। চিকেন হট উইংস বা নাগেটস, পপকর্ণ চিকেন বা বাসকেট, যা-ই হোক কোনও চিকেন স্ন্যাক্সয়েই না নেই। শুধু কী কেএফসি, সাব ওয়ে, ম্যাক ডোনাল্ডস, প্রসেসড চিকেন এখন বাজারে খুব হিট। কিন্তু যদি জানেন এই প্রসেসড চিকেনের পর্দার ওপারের কাহিনী তাহলে হয়ত খাওয়ার আগে কয়েকবার ভাববেন।
ওয়েব ডেস্ক: কেএফসি-র চিকেন। নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। চিকেন হট উইংস বা নাগেটস, পপকর্ণ চিকেন বা বাসকেট, যা-ই হোক কোনও চিকেন স্ন্যাক্সয়েই না নেই। শুধু কী কেএফসি, সাব ওয়ে, ম্যাক ডোনাল্ডস, প্রসেসড চিকেন এখন বাজারে খুব হিট। কিন্তু যদি জানেন এই প্রসেসড চিকেনের পর্দার ওপারের কাহিনী তাহলে হয়ত খাওয়ার আগে কয়েকবার ভাববেন।
প্রসেসড চিকেন তৈরির প্রধান উপাদান হলো ছোট্ট ছোট্ট মুরগীর ছানা। খাওয়ার আগে একথা মনে পড়লে হয়ত অনেকেরই খারাপ লাগে। কিন্তু যদি জানতে পারেন কী নির্মম নির্যাতন করে এই ছানেগুলোকে বানানো হয় প্রসেসড চিকেন তবে অবাক হবেন। সদ্য জন্মানো ছানা গুলোর গা থেকে ডিমের খোলটাও ছাড়ানো হয় না, তাদের পাঠইয়ে দেওয়া মেশিনে। ওরা যেন কোনও জীবন্ত প্রাণী নয়, প্রাণহীণ বস্তু। এরপর মেশিন থেকে মেশিনে ঘুরতে ঘুরতে ছানা গুলো এসে পড়ে সেই মানুষটার হাতে যা একটা একটা ছানাকে অনায়াসে মেরে ফলে চালান করে দেয় অন্য এক কনটেনারে। এতো তাও ভালো। আরও খারাপ অবস্থা হয় যা ছানা গুলো কাজে লাগে না তাদের। অকেজো ছানাগুলোকে বিশাল মেশিনটর গর্তে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। ওরা এসে জমা হয় বিন ব্যাগে। জ্যান্ত অবস্থাতেই বিন ব্যাগের মুখ বন্ধ করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় রিসাইকেল হতে। মুখবন্ধ বিন ব্যাগে ছটফট করতে করতে মরতে হয় ওই সদ্য জন্মানো শিশু গুলোকে। এরপরও যারা বেঁচে থাকে তারা রিসাইকেল মেশিনে জ্যান্ত পেস্ট হয়ে যায়। পৃথিবীতে আসার পর একদিনও হয়ত ওদের আয়ু থাকে না। মানুষের ভুঁড়ি ভোজের জন্য নির্মম ভাবে বলি হতে হয় ওদের।