ইন্টারনেটের সবচেয়ে রহস্যময়ী এই মহিলা 'মরে বেঁচে আছেন'!

চিপ-চান রহস্য। ইন্টারনেটে জগতের সবচেয়ে ভয়ানক এক রহস্য। এই রহস্যভেদ করতে পারেনি কেউ। অনেক চেষ্টা করেও পারছে না কেউ। ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে এক মহিলা(ছবিতে)। যিনি মরেও বেঁচে আছেন। হ্যাঁ, ওনাকে প্রথমটা দেখে মনে হবে মৃত মানুষ। অনেকক্ষণ পর যখন সেই মহিলা নড়বেন, তখন বুঝতে পারবেন, না উনি বেঁচে। একমাত্র স্কাইপের মত ভিডিও চ্যাটিং ওয়েবসাইটেই তাঁকে দেখা যায়। বহু খোঁজ করেও বাস্তবে তাঁর ঠিকানা বা হদিশ পাওয়া যায়নি।

Updated By: Jun 22, 2016, 09:11 PM IST
ইন্টারনেটের সবচেয়ে রহস্যময়ী এই মহিলা 'মরে বেঁচে আছেন'!

ওয়েব ডেস্ক: চিপ-চান রহস্য। ইন্টারনেটে জগতের সবচেয়ে ভয়ানক এক রহস্য। এই রহস্যভেদ করতে পারেনি কেউ। অনেক চেষ্টা করেও পারছে না কেউ। ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে এক মহিলা(ছবিতে)। যিনি মরেও বেঁচে আছেন। হ্যাঁ, ওনাকে প্রথমটা দেখে মনে হবে মৃত মানুষ। অনেকক্ষণ পর যখন সেই মহিলা নড়বেন, তখন বুঝতে পারবেন, না উনি বেঁচে। একমাত্র স্কাইপের মত ভিডিও চ্যাটিং ওয়েবসাইটেই তাঁকে দেখা যায়। বহু খোঁজ করেও বাস্তবে তাঁর ঠিকানা বা হদিশ পাওয়া যায়নি।

ওই ভিডিও ওয়েবসাইটেই সেই মহিলার দাবি, তাঁকে এক পুলিস অফিসার মাইক্রোচিপ ব্যবহার করে সম্পূর্ণ কব্জা করে করেছেন। মহিলার হাঁটুতে লাগানো মাইক্রোচিপ নাকি রিমোটের মত কাজ করে। তিনি কখন ঘুমোবেন, কখন খাবেন, কখন কী করবেন সেটা নাকি তার হাতে নেই। সবটাই ওই চিপের খেলা।    

তাঁর জীবন এখন সম্পূর্ণ সেই পুলিস অফিসারের নিয়ন্ত্রণে বলে ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে জানান দক্ষিণ কোরিয়ার ওই মহিলা। কিন্তু তার সঙ্গে কেন এমন করছেন পুলিস অফিসার! সেই রহস্যময়ীর দাবি, পুলিস অফিসারের তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন। অভিযোগ জানাতে যাওয়ার সময় তাঁকে অপহরণ করে নাকি একটা ফ্ল্যাটে বন্দি করে রাখেন। তারপর দিন কয়েক বন্দি রাখার পর এক বিজ্ঞানী নাকি তাঁর গোটা গায়ে বিভিন্ন চিপ লাগিয়ে দেন। এরপর থেকে এই মহিলা নাকি অবশ হয়ে আছেন। সেই পুলিস অফিসারের হাতের পুতুল বনে গিয়েছেন।

২০০৮ সালে কোরিয়ার এক ওয়েবক্যাম স্ট্রিমিং সাইটের মাধ্যমে প্রথমবার এই মহিলাকে দেখেন এক ব্যক্তি। সেই ব্যক্তি ভিডিওতে দেখেন মহিলা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠায় বসে, একই ভাবে, নড়ছেনও না, চড়ছেনও না। সেই ব্যক্তি তারপর অনেককে এই ঘটনা শেয়ার করেন। অনেকেই ব্যাপারটা খেয়াল করেন। তাহলে কি ভিডিওতে যে মহিলাটিকে দেখা যাচ্ছে তিনি মারা গিয়েছেন?পরে দেখা যায়, না, উনি নড়াচড়া করছেন। তবে ওনার হাঁটাচলায় যে অস্বাভাবিকত্ব আছে সেটা পরিষ্কার হয়ে যায়। এরপরেই ওই মহিলা ওয়েব ক্যামেরার মাধ্যমে ভিডিওতে এইসব বিস্ফোরক দাবি করেন।

ভিডিওতে দেখা গিয়েছে দশ ঘণ্টা অচেতন অবস্থায় থাকার পর তিনি কিছু খাওয়া দাওয়া করেন। তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়েন। ভাল করে খুঁটিয়ে দেখা গিয়েছে সারাদিন তিনি ওই ফ্ল্যাটেই থাকেন। ওয়েবক্যামের মাধ্যমে ফ্ল্যাটের ছোট কামরাটা যতটা দেখা যায়, সেটা বড্ড নোংরা হয়ে আছে। বেশ গা ছমছমে লাগে ব্যাপারটা।

অনেকেই এই রহস্যভেদ করতে নামেন। আইপি অ্যাড্রেস ট্রেস করা যায় না ওই মহিলার। রহস্যময়ী হয়েই নেট দুনিয়ায় বিরাজ করেন দক্ষিণ কোরিয়ার মহিলা। অনেকে অবশ্য চিপ চান রহস্যটাকে বিশেষ আমল দেন না। বলেন, ওটা ওই সাইটের কারসাজি। বাস্তবে এরকম কোনও মহিলাই নেই। তাদের প্রশ্ন আইপি অ্যাড্রেস ছাড়া কী করে কেউ ভিডিও চ্যাট করছে!

ব্যাপার যাই হোক। এই রহস্য সত্য না মিথ্যা জানা নেই। রহস্য সবসময়ই মানুষকে টানে। এই রাতের বেলা তাই রহস্যকে রহস্যের মোড়কেই শোনালাম। বিশ্বাস, অবিশ্বাস আপনার হাতে... 

Tags:
.