মার্কিন গবেষকের দূরবীনে সূর্যের যমজ ভাই

সৌরজগতে নয়া আবিষ্কার। সূর্যের যমজ ভাইকে খুঁজে পেলেন মার্কিন গবেষকরা। প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে জন্ম নেমেসিসের। ২৫ কোটি বছর আগে ডাইনোসরের অবলুপ্তির পিছনে সূর্যের এই যমজ ভাইই দায়ী। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন গবেষকরা।

Updated By: Jun 21, 2017, 09:46 AM IST
মার্কিন গবেষকের দূরবীনে সূর্যের যমজ ভাই

ওয়েব ডেস্ক: সৌরজগতে নয়া আবিষ্কার। সূর্যের যমজ ভাইকে খুঁজে পেলেন মার্কিন গবেষকরা। প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে জন্ম নেমেসিসের। ২৫ কোটি বছর আগে ডাইনোসরের অবলুপ্তির পিছনে সূর্যের এই যমজ ভাইই দায়ী। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন গবেষকরা।

তারারা যত আলোকবর্ষ দূরে, ততটাই রহস্যঘন সৌরজগত্‍। সীমাহীন মহাকাশে অসীম দাদাগিরি সূর্যের। যার তেজে তটস্থ থাকে গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র। যুগ যুগ ধরে আকাশে এই নিয়মই বলবত্‍। তার অন্যথা হয় না। খালি চোখে দেখা যায় না ঠিকই, কিন্তু ওই দূরে অনবরত ঘটে চলে অকল্পনীয় সব ঘটনা। কিছু কিছু ঘটনা হঠাত্‍ সামনে এসে পড়ে। যেমন ডাইনোসরের অবলুপ্তি।

২৫ কোটি বছর আগে প্রলয়ঙ্কর কাণ্ডটি ঘটে গিয়েছিল। প্রায় ৯৬ শতাংশ জলচর ও ৭০ শতাংশ স্থলচর প্রাণী ও উদ্ভিদের মৃত্যু হয়েছিল ওই মহাধ্বংসে। সেই তালিকায় ছিল ভয়ঙ্কর সব ডাইনোসর। শাকাহারী বা হার্বিভোরাস তো বটেই, এমনকি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল ভয়ঙ্কর মাংসাশী বা কার্নিভোরাস ডাইনোসররাও। উল্কাপাত, ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে বেরনো লাভাস্রোতের মতো নানা প্রাকৃতিক এবং মহাজাগতিক শক্তিই ছিল সেই বিনাশের মূল কারণ।

এবার উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর একটি তথ্য। ডাইনোসরের অবলুপ্তির পিছনে রয়েছে সূর্যের যমজ ভাই। এমনই দাবি ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলে ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক।

সূর্যের ভাই যখন, তখন শক্তিতে কারও থেকে কম নয় সে। গবেষকদের দাবি, সৌরজগতের সব গ্রহ শুধু সূর্য থেকেই সৃষ্টি হয়নি। নেমেসিস থেকেও সৃষ্টি হয়েছে সৌরমণ্ডলের বেশ কিছু গ্রহের। ৬০০ আলোকবর্ষ দূরে থাকা নেমেসিসই পৃথিবী থেকে ডাইনোসর বিলুপ্ত হওয়ার অন্যতম কারণ।

প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে জন্ম নেমেসিসের। একটি গ্রহাণুকে লাথি মেরে পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠিয়ে দেয় সে। সেই গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পৃথিবীর। পৃথিবী থেকে ডাইনোসরের অবলুপ্তি

তাহলে নেমেসিস এখন গেল কোথায়? দাদার দাপটে কি হারিয়ে গেছে ভাই? নাকি এখনও সৌরজগতে রয়েছে নেমেসিস? যদি থাকে, তাহলে সে এখন কোথায়? উত্তর খুঁজছেন গবেষকরা। তবে প্রশ্ন একটাই, সেই রহস্যের কি আদৌ তল পাওয়া সম্ভব? (আরও পড়ুন- 'গ্লো ইন দ্য ডার্ক': রাতের অন্ধকারেও জ্বল জ্বল করবে, কানাডা তৈরি করছে এমনই কয়েন)

.