ভারী পকেটের চাঁদে পাড়ি
বৈজ্ঞানিক গবেষণা ? মহাবিশ্বের রহস্য সন্ধান ? না, এ সব কিছুই নয়। উদ্দেশ্য নিখাদ বাণিজ্য। পয়সা থাকলেই হল। কয়েকটা দিন ছুটি কাটিয়ে আসতে পারবেন চাঁদে। তবে, এ জন্য পকেট একটু ভারী হতে হবে। দুজনের চন্দ্রযাত্রার টিকিটের দাম ভারতীয় মুদ্রায় সাকুল্যে সাত হাজার কোটি। উদ্যোগী মার্কিন মুলুকের এক বেসরকারি সংস্থা।
বৈজ্ঞানিক গবেষণা ? মহাবিশ্বের রহস্য সন্ধান ? না, এ সব কিছুই নয়। উদ্দেশ্য নিখাদ বাণিজ্য। পয়সা থাকলেই হল। কয়েকটা দিন ছুটি কাটিয়ে আসতে পারবেন চাঁদে। তবে, এ জন্য পকেট একটু ভারী হতে হবে। দুজনের চন্দ্রযাত্রার টিকিটের দাম ভারতীয় মুদ্রায় সাকুল্যে সাত হাজার কোটি। উদ্যোগী মার্কিন মুলুকের এক বেসরকারি সংস্থা।
একুশে জুলাই, ১৯৬৯। ঠাণ্ডাযুদ্ধে সোভিয়েতকে টেক্কা দিল আমেরিকা। চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিলেন নিল আর্মস্ট্রং। সেই শেষ। তারপর, পেরিয়ে গেছে চার দশক। নাসা আর চাঁদে মানুষ পাঠানোর উদ্যোগ নেয়নি।শূন্যস্থান পূরণে এগিয়ে এসেছে বেসরকারি মার্কিন সংস্থা গোল্ডেন স্পাইক। দুহাজার কুড়ির মধ্যে তারা বাণিজ্যিক ভাবে চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা নিয়েছে। অ্যাপোলোর প্রাক্তন ফ্লাইট ডিরেক্টর গ্যারি গ্রিফিন এই সংস্থার চেয়ারম্যান। তিনি বলছেন, কোনও দেশ, কোনও সংস্থা বা কোনও ব্যক্তির ইচ্ছেপূরণ করতেই তাঁদের এই উদ্যোগ।
দুজনকে চাঁদে নিয়ে যাওয়ার টিকিটের দাম এক দশমিক চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফলে, খদ্দের ধরতে বিভিন্ন ধনী দেশ ও কোটিপতিদের টার্গেট করেছে গোল্ডেন স্পাইক।
চাঁদের মাটিতে লুকিয়ে থাকা মূল্যবান খনিজ পদার্থের দিকেও নজর রয়েছে ওই সংস্থার।
মার্কিন অর্থনীতির সঙ্কট এখনও বর্তমান। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্দেশে তাই চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা বাতিলে বাধ্য হয়েছে নাসা। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিতেই এগিয়ে এগিয়ে আসছে বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি। আপাতত পনেরো থেকে কুড়িটি উতক্ষেপণের কথা ভেবেছে বেসরকারি সংস্থা গোল্ডেন স্পাইক।। প্রথমবার চাঁদে মানুষ পাঠাতে সাত থেকে আট বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা। তাদের দাবি, টিকিট বিক্রি ছাড়াও বিজ্ঞাপন, অধিকার সত্ত্ব বিক্রি বাবদ বিভিন্ন খাতে পাওয়া অর্থে উঠে আসবে চন্দ্রাভিযানের খরচ। সম্প্রতি, বিভিন্ন সংস্থা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে মহাকাশ অভিযানের উদ্যোগ নিয়েছে। যদিও, বিজ্ঞানের উন্নতি বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ব্যবসায়িক স্বার্থে গৃহীত এইসব পরিকল্পনার ভবিষ্যত নিয়ে বিশেষজ্ঞরা রীতিমতো চিন্তিত। চূড়ান্ত অভিযানের আগে ব্যয়সাপেক্ষ একাধিক পরীক্ষামূলক উতক্ষেপণ, অভিযানের ঝুঁকি - এ সবের দায় কে নেবে সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।