আক্রান্ত শৈশব: পৃথিবী জুড়ে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে শিশু পাচার

পৃথিবীর কোথাও বোধহয় আর নিরাপদ নয় মানুষ। ইউএনওডিসি (ইউনাইটেড নেশন অফিস অফ ড্রাগ এন্ড ক্রাইম)-এর সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে ভয়াবহ এক বাস্তব চিত্র। 'আধুনিক দাসত্ব' বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্বজুড়ে বাড়ছে মানুষ পাচার। সবথেকে বে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন মহিলা ও শিশুরা। শিশুদের মধ্যে অধিকাংশই আবার ছোট ছোট মেয়ে।  

Updated By: Nov 25, 2014, 02:05 PM IST
 আক্রান্ত শৈশব: পৃথিবী জুড়ে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে শিশু পাচার

ওয়েব ডেস্ক: পৃথিবীর কোথাও বোধহয় আর নিরাপদ নয় মানুষ। ইউএনওডিসি (ইউনাইটেড নেশন অফিস অফ ড্রাগ এন্ড ক্রাইম)-এর সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে ভয়াবহ এক বাস্তব চিত্র। 'আধুনিক দাসত্ব' বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্বজুড়ে বাড়ছে মানুষ পাচার। সবথেকে বে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন মহিলা ও শিশুরা। শিশুদের মধ্যে অধিকাংশই আবার ছোট ছোট মেয়ে।  

ইউএনওডিসি-র রিপোর্ট অনুযায়ী পাচার হওয়া প্রতি ৩জন শিশুর মধ্যে ২জনই মেয়ে। যদি সামগ্রিক নারী পাচারের মধ্যে এই বাচ্চা মেয়েগুলোকে রাখা যায় তাহলে পরিসংখ্যনটা আরও ভয়াবহ। সারা পৃথিবীজুড়ে দেখা গেছে পাচার হওয়া মেয়েদের ৭০%-ই শিশু বা কিশোরী।

সব থেকে খারাপ অবস্থা আফ্রিকা ও মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলিতে। এখাঙ্কার ৬২% শিশুই পাচার হয়ে যায়।

গত ৫ বছরে কন্সট্রাকশন সেক্টরে, পরিচারক/পরিচারিকার কাজে, টেক্সটাইল প্রোডাকশন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাচার হওয়া মানুষদের আধুনিক দাস বানিয়ে কাজ করতে বাধ্য করার সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। দেখা গেছে ফোর্সড লেবারে বাধ্য করা পাচার হওয়া মানুষদের ৩৫% মহিলা।

পৃথিবীর কোনও দেশই প্রায় এই অমানবিক প্রথার অন্ধকার মুক্ত নয়। ১৫২টি দেশ থেকে  মূলত ১২৪টি দেশে প্রতিনিয়ত পাচার হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।

আন্তর্মহাদেশীয় পাচার কিন্তু পৃথিবীর ধনী দেশগুলির মধ্যেই অনেক বেশি পরিমাণে হয়। বিভিন্ন দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের পাচারের হার সর্বাধিক।

ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ায় যেখানে যৌন শোষন পাচারের মূল কারণ, পূর্ব আফ্রিকা ও প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কেটের স্বার্থে পাচার হওয়া মানুষদের ফোর্সড লেবারে বাধ্য করা হয়।

আমেরিকাতে আবার পাচারের পিছনে এই দুটি কারণই সমানভাবে কাজ করে।

পাচার হওয়া প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬ জনকে ভিন্ন দেশে পাচার করা হয়। ৭২% পাচারকারীই পুরুষ। 

.