কিম-ট্রাম্পের বৈঠক রক্তচাপ বাড়াচ্ছে বেজিং-এর
দক্ষিণ কোরিয়া প্রথম থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্টের বন্ধু দেশ বলে পরিচিত। এরপর কিমও যদি একই জুতোয় পা গলায়, তাহলে চিনের নাকের ডগায় শক্তিপ্রদর্শন করতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
নিজস্ব প্রতিবেদন: কিম-ট্রাম্পের বৈঠক নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন চিনা কূটনীতিকরা। এমনই দাবি বিশেষজ্ঞদের একাংশের। কিন্তু, উদ্বেগের কারণ কী? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের চাপে কিম যদি বেজিং-এর জন্য অস্বস্তিকর কোনও সিদ্ধান্ত মেনে নেন, তাহলে তা চিনের কাছে বিপজ্জনক হবে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলতে যারপরনাই উত্সাহী উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্প অত্যন্ত সুকৌশলে কিমকে পাকাপাকিভাবে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ করাতে চাপে রাখার চেষ্টা করবেন। আর্থিক নিষেধাজ্ঞার জুজু সামনে রেখে কিমকে চক্রব্যূহে ফেলার চেষ্টা করবেন। কিন্তু, পোড় খাওয়া ব্যবসায়ী ট্রাম্পের চৌখস দর কষাকষির সামনে নিজের 'ইস্যু' ধরে রেখে কতটা স্বস্তিজনক মিটমাটে সফল হবেন কিম, সে বিষয়ে যথেষ্ট চিন্তায় চিনা কূটনীতিকরা।
আরও পড়ুন- কিমের কয়েক ঘণ্টা পরেই সিঙ্গাপুরে পৌঁছলেন ট্রাম্প-ও
বরাবরই উত্তর কোরিয়ার মিত্ররাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত চিন। বাণিজ্যিক সম্পর্কের দিক থেকেও এই দুই দেশ সহযোগী ভূমিকা পালন করে এসেছে। ফলে, এই বৈঠকের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করলে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে চিনের প্রভূত ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দুই শক্তিধর রাষ্ট্রের টানাপোড়েনে বেজিংয়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে পারে।
আরও পড়ুন- ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি ট্রাম্পের!
দক্ষিণ কোরিয়া প্রথম থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্টের বন্ধু দেশ বলে পরিচিত। এরপর কিমও যদি একই জুতোয় পা গলায়, তাহলে চিনের নাকের ডগায় শক্তিপ্রদর্শন করতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিং-এর প্রভাব ক্ষুন্ন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- আমেরিকা ফাস্ট! প্রয়োজনে মিত্রদেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে রাজি ট্রাম্প
উল্লেখ্য, প্রথম চিন সফরে গিয়ে সেখানে দাঁড়িয়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত্ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন কিম জং উন। ‘যুদ্ধবাজ’ কিমের মন গলানোর প্রাথমিক কাজ শুরু করেছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-ই। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের অনিশ্চিয়তার মধ্যে ফের জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেন কিম। প্রতিবারই পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ করার বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।