Turkey-Syria Earthquake: দু'দেশের একাধিক শহর এখন কবরখানা, তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১১০০ ছাড়াল
ভূমিকম্প থেকে বরাতজোরে যারা রক্ষা পেয়েছেন তারা প্রবল ঠান্ডায় মাথা গোঁজার মতো ঠাঁই পাননি অনেকেই। ফলে ধংসস্তূপ থেকে জিনিসপত্র বেছে নিয়ে তা জ্বালিয়ে কোনওক্রমে ঠান্ডা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন। আন্তর্জাতিক ত্রাণ পৌঁছচ্ছে বটে তবে তা এখনও পর্যাপ্ত নয়
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভূমিকম্পে সিরিয়া ও তুরস্কের একাধিক শহর প্রায় ধ্বংসস্তূপ। তার উপরে হাড়কাঁপানো ৩ ডিগ্রি ঠান্ডা। এই দুয়ের সাঁড়াশি চাপে যাদের এখনও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ছিল তাও এখন ক্ষীণ হয়ে আসছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভূমিকম্পে এখনওপর্যন্ত মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১১,৭০০। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় চলছে উদ্ধারকাজ।
আরও পড়ুন-আবাস যোজনার টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকতেই প্রেমিকদের সঙ্গে ঘর ছাড়লেন ৪ গৃহবধূ
ভূমিকম্প থেকে বরাতজোরে যারা রক্ষা পেয়েছেন তারা প্রবল ঠান্ডায় মাথা গোঁজার মতো ঠাঁই পাননি অনেকেই। ফলে ধংসস্তূপ থেকে জিনিসপত্র বেছে নিয়ে তা জ্বালিয়ে কোনওক্রমে ঠান্ডা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন। আন্তর্জাতিক ত্রাণ পৌঁছচ্ছে বটে তবে তা এখনও পর্যাপ্ত নয়। ঠান্ডা ও খিদের জ্বালায় অনেক প্রাণ হারাতে পারেন বলে আঙ্কা করা হচ্ছে।
ধ্বংসস্তূপ থেকে এমনও সদ্যজাতকে উদ্ধার করা হয়েছে যার মা-র মৃত্য়ু হয়েছে এবং তার আম্বেলিক্যাল কর্ড কাটা হয়নি। খালিল আল সুহাদি নামে এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্য়মে বলেন, শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে আমার ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে দেখলাম ওই শিশুটির মা মারা গিয়েছে। তার শরীরের সঙ্গে তখনও শিশুটির আম্বেলিক্যাল কর্ড লেগে রয়েছে। সেটিকে কেটে আমরা শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
উল্লেখ্য, রিখটার স্কেলের ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প সোমবার কাঁপিয়ে দিয়ে যায় দক্ষিণ তুরস্ক ও সিরিয়াকে। শুধু তাই নয়, একের পর এক আফটার শকে বিধ্বস্ত হয়ে যায় দুদেশের একাধিক শহর। তুরস্কের গাজিয়ানটেপ ও কাহানমানমারার শহর পুরোপুরি ধ্বংস্তূপের চেহারা নিয়েছে। ওইসব শহরে যারা সোমবার নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছিলেন তারা আর উঠবেন না বলে মনে করেছে উদ্ধারকারী দলের একাংশ।
ভূমিকম্পের এপিসেন্টার হল তুরস্কের হাতয় প্রদেশ। সেইসব জায়গায় ধ্বংসলস্তূপ পরির্দনে গিয়ে তুর্কি প্রেডিডেন্ট এরদোগান বলেন শুধুমাত্র তুর্কিতেই নিহত হয়েছেন ৯,০৫৭ জন। অন্যদিকে, সিরিয়ার দাবি সেখানে ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন ২,৬৬২ জন।