এই যমজ বোন কেন গিনিস বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে!
অ্যামি আর কেটি, দুই যমজ বোন। যমজ শব্দটা খুব অবাক করা কিছু নয়। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও যমজ সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু অ্যামি আর কেটির জন্ম বৃত্তান্ত শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। এমন যমজ সন্তানের জন্ম এর আগে কোনও মা দেননি। তাই তো এই দুই বোনের নাম উঠে গিয়েছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে। কিন্তু কী এমন কাণ্ড ঘটেছে এদের জন্মে?
ওয়েব ডেস্ক: অ্যামি আর কেটি, দুই যমজ বোন। যমজ শব্দটা খুব অবাক করা কিছু নয়। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও যমজ সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু অ্যামি আর কেটির জন্ম বৃত্তান্ত শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। এমন যমজ সন্তানের জন্ম এর আগে কোনও মা দেননি। তাই তো এই দুই বোনের নাম উঠে গিয়েছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে। কিন্তু কী এমন কাণ্ড ঘটেছে এদের জন্মে?
যমজ বলতে সাধারণত আপনি কী বোঝেন? দু'জনেই একই রকম দেখতে আর দু'জনের জন্মের মধ্যে ব্যবধান খুব কম। কয়েক মিনিট মাত্র। কিন্তু কখনও শুনেছেন কি যমজের মধ্যে বয়সের ফারাক ৮৭ দিনের? এখানেই আলাদা অ্যামি আর কেটি। যমজ হলেও অ্যামির থেকে ৮৭ দিনের ছোট কেটি। শুরু থেকেই মারিয়া জানতেন তাঁর গর্ভে রয়েছে যমজ সন্তান। সবকিছু ঠিকঠাকই এগোচ্ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের চার মাসেই আগেই মারিয়ার প্রসববেদনা শুরু হয়ে যায়। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন এই পরিস্থিতিতে শিশুদের জন্ম দিলেও বাঁচানো প্রায় অসম্ভব। কিন্তু মারিয়ার মনের জোর এই অসম্ভবকে সম্ভব করে। জন্ম হয় অ্যামির। প্রি-মেচিওর হওয়ায় তাকে সঙ্গে সঙ্গে ইনটেন্সিভ কেয়ারে রাখা হয়। অবাক করা ঘটনা ঘটে এরপর। পেটের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান থাকা সতবেও মারিয়ার জন্ম দেওয়ার সব লক্ষণ বন্ধ হয়ে যায়। ডাক্তাররা কৃত্রিমভাবে প্রসববেদনার অনেক চেষ্টা করলেও কোনওমতেই তা আর সম্ভব হয় না।
দ্বিতীয় সন্তানের বাঁচার সম্ভাবনা ডাক্তাররা ছেড়েই দিয়েছিলেন। কিন্তু হার মানতে রাজি ছিলেন না মারিয়া। হার মানতেও হয়নি। ৮৭ দিন পর নির্দিষ্ট সময়ে সুস্থ ভাবে জন্ম হয় মারিয়ার দ্বিতীয় সন্তান কেটির। এই আশ্চর্য ঘটনায় অবাক হয়ে চিকিৎসকরা এই যমজ বোনের নাম দেন 'মিরাকল বেবিজ'।