বিধ্বংসী মারিয়ায় বিপর্যস্ত পূর্ব চিন, বহুতল সমান জলোচ্ছ্বাস আছড়ে পড়ছে ফুজিয়ান শহরে
বিধ্বংসী টাইফুন মারিয়ার প্রভাবে সে সব জায়গায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে জনজীবন। স্কুল, কলেজ, অফিস অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কমপক্ষে ২০০-র বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধ্বংসী ঝড়ে তছনছ পূর্ব চিনা উপকূল। যার জেরে বুধবার সকালে ফুজিয়ান প্রদেশে ব্যাপক ধস দেখা যায়। এখনও পর্যন্ত প্রাণহানির খবর না মিললেও ঝেজিয়াং প্রদেশ, ওয়েনঝো শহর থেকে প্রায় ২.৭০ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। বিধ্বংসী টাইফুন মারিয়ার প্রভাবে সে সব জায়গায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে জনজীবন। স্কুল, কলেজ, অফিস অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কমপক্ষে ২০০-র বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ২০৩৩ সালে ইতিহাস তৈরি করবে মার্কিন কিশোরী
মারিয়া ঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণ চিন সাগর ব্যাপক জলস্ফীতি দেখা যায়। বহুতল সমান জলোচ্ছ্বাস আছড়ে পড়ছে ফুজিয়ান শহরে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ঘণ্টা ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইছে পূর্ব চিনের উপর দিয়ে । কমপক্ষে ২ হাজার গাছ এবং বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। হাওয়া অফিসের সতর্কতা অনুযায়ী, বুধবার থেকেই শক্তিশালী ছিল মারিয়া। এখনও বিপদের আশঙ্কা কাটেনি বলে নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে সে দেশের হাওয়া অফিস।
আরও পড়ুূন- বাণিজ্য যুদ্ধে খাড়াখাড়ি চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, প্রভাব এশীয় শেয়ার বাজারে
চলিত বছরে ৮ বার এমন বিধ্বংসী ঝড়ে মুখে পড়ল চিন। এই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ান-ও। তাইওয়ানের বেশ কয়েকটি শহরে স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। ৭০টি অভ্যন্তরীণ উড়ান বাতিল করা হয়েছে। চিনা প্রেমিয়ার উইলিয়াম লাই এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নিরাপদে নিয়ে আসা হয়েছে দুর্গতদের। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে তাইওয়ানে ভয়াবহ ধসে ৭০০ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন- ভারতের পাশেই আছে ইরান, আগামী দিনেও তেল দেবে দিল্লিকে