আর কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতে Nirav Modi! প্রত্যপর্ণে সম্মতি দিল ইংল্যান্ড
বাংলায় ভোটের মাঝে বড় সাফল্য় মোদি সরকারের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লন্ডনের ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে গ্রেফতার। বছর দুয়েক পর অবশেষে পিএনবি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত নীরব মোদীর (Nirav Modi) প্রত্যর্পণে সবুজ সংকেত দিল ব্রিটিশ সরকার। অর্থাৎ এখন চাইলেই নীরবকে দেশে ফেরাতে পারবে সিবিআই (CBI)। বাংলায় যখন ভোট চলছে, তখন বড় সাফল্য় পেল মোদি সরকার।
স্রেফ ঋণখেলাপিই নয়, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক বা PNB-তে ১৩ হাজার কোটি টাকা তছরুপের মামলায়ও অভিযুক্ত নীরব মোদী (Nirav Modi)। এই হিরে ব্যবসায়ীকে কীভাবে দেশে ফেরানো যায়? প্রায় ২ বছর ধরে প্রত্যর্পণের মামলা চলছে ইংল্যান্ডের আদালত। ফ্রেরুয়ারি মাসে লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্টে বিচারক স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছিলেন, আর্থিক প্রতারণায় মামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে নীরব মোদীকে। শুধু তাই নয়, তাঁকে ভারতের প্রত্যপর্ণেরও নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর নিয়মাফিক সেই নির্দেশনামা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রসচিবকে। ২ মাস পর আদালতের নির্দেশনামায় স্বাক্ষর করলেন তিনি। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দেশে ফেরানো হবে নীরবকে।
United Kingdom's Home Minister has approved the extradition of Nirav Modi: CBI official pic.twitter.com/cdqLHDYM92
— ANI (@ANI) April 16, 2021
আরও পড়ুন: হোয়াইট হাউস ছাড়তেই হল বাইডেনের পোষ্যকে
ভারত সরকার আগেই পাসপোর্ট বাতিল করে দিয়েছিল। ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ লন্ডনের একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন নীরব মোদি। এরপর জানা যায়, নীরবের নামে একাধিক পাসপোর্ট রয়েছে। একটি মেট্রোপলিটন পুলিশের হেফাজতে, আর একটি পাসপোর্ট ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। ব্রিটেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে হেফাজতে থাকা পাসপোর্টটির অবশ্য মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। এমনকী, বাদ নেই রেসিডেন্সি কার্ডও। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের মতো একাধিক দেশে থাকার অনুমতি নিয়ে রেখেছেন নীবর মোদী। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের সময় বিজয় মালিয়ার প্রত্য়পর্ণেরও অনুমতি পাওয়া গিয়েছিল। আইনি জটিলতায় তাঁকে কিন্তু দেশে ফেরানো যায়নি এখনও। নীবর মোদীর ক্ষেত্রে তেমনটা হবে নাতো? নজর থাকবে সেদিকে।