UK PM Election: শিয়রে আর্থিক সংকট, ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক

ঋষির কাছে এখন প্রধান চ্য়ালেঞ্জ দেশের অর্থনীতিকে লাইনে আনা। কারণ ওই কারণেই চলে যেতে হয়েছে ট্রাসকে। পদত্যাগ করে ট্রাস বলেওছেন, কিছুর করতে পারিনি। সেই জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড় করাতে হবে অর্থনীতিকে

Updated By: Oct 24, 2022, 08:08 PM IST
UK PM Election: শিয়রে আর্থিক সংকট, ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ঋষি সুনক। লিজ ট্রাসের পর সোমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুনকের নামই চূড়ান্ত করে ফেলল কনজারভেটিভ পার্টি। আগামী ২৮ অক্টোবর ব্রিটেনের সবচেয়ে কমবয়সী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন ৪২ বছরের ঋষি। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কনজারভেটিভ পার্টির অর্ধেক সদস্যই ভোট দিয়েছেন সুনককে। তিনিই হবে ব্রিটেনের প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী।  

রাজনৈতিক মহলের দাবি, সবটাই ছিল সময়ের অপেক্ষা। লিস ট্রাস ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর কে হবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী তা নিয়ে একটা প্রশ্ন ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে সরে যান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ফলে ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তির জামাই ঋষি সুনকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রাস্তা অনেকটাই মসৃণ হয়ে যায়। দেখা যায় সুনকের সঙ্গে ওই লড়াইয়ে যিনি ছিলেন সেই পেনি মরডান্ট অনেকটাই দূরে। গত সাত মাসে এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসলেন ৩ জন।

আরও পড়ুন- ' অ্যাশ নে দিমাগ কে উপর এক্সট্রা দিমাগ লগয়া'! 

কেন ঋষি সুনকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি ছিল? প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রয়োজন ১০০ সংসদের সমর্থন। সেই জায়গায় সুনকের পাশে রয়েছেন ১৯৩ জন কনজারভিটভ সাংসদ। দেড় মাস আগেই লিস ট্রাসের কাছে গোল খেয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ নাগালের কাছে এসেও হাতছাড়া হয়েছিল। কিন্তু চাপ নিতে না পেয়ে ট্রাস গদি ছাড়তেই ফের একবার ভাগ্য পরীক্ষায় নেমে পড়েছিলেন সুনক। 

ঋষির কাছে এখন প্রধান চ্য়ালেঞ্জ দেশের অর্থনীতিকে লাইনে আনা। কারণ ওই কারণেই চলে যেতে হয়েছে ট্রাসকে। পদত্যাগ করে ট্রাস বলেওছেন, কিছুর করতে পারিনি। দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ছিলেন সুনক। বর্তমানে দেশের আর্থিক যে পরিস্থিতি তাকে কনজারভেটিভ পার্টি তাকেই যোগ্য লোক বলে মনে করছে। ভোটের আগে সেকথা বলেওছেন সুনক। কনজার্ভেটিভ পার্টির প্রধান যিনি নির্বাচিত হবেন তিনি হবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই কাজে দলের পাশে থাকতে ক্যারিবিয় দ্বীপুঞ্জের ছুটি বাতিল করে দেশে ফিরেছিলেন বরিস জনসন। ঘোষণাও করে দেন দলের নেতা নির্বাচন কিংবা প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে তিনি নেই। বরিস জনসনের অভিমত, আপাতত প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার দৌড়ে থাকা ঠিক হবে না। তবে তিনি আশাপ্রকাশ করেছেন যে,  পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা যদি ঐক্যবদ্ধ না-হন তবে, দক্ষতা এবং দৃঢ়তার সঙ্গে কোনও সরকার পরিচালনা করাই সম্ভব নয়।

কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষ থেকে জানানো এসেছে, ২৮ অক্টোবরের মধ্যে দলের নতুন নেতা নির্বাচিত করা হবে। প্রথাগত ভাবে পার্টির এই নেতাই প্রধানমন্ত্রী হন। বর্তমান পার্লামেন্টে কনজারভেটিভদের সদস্যসংখ্যা ৩৫৭ জন। তাঁরাই নতুন দলনেতা নির্বাচিত করবেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে নাম লেখানোর জন্য একজন প্রার্থীকে অন্তত ১০০ সদস্যের সমর্থন জোগাড় করতে হয়। সেই নিরিখেই অনেকটা স্বস্তিতে ঋষি। প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে সড়ে দাঁড়ানোর পর বরিস জনসনের প্রশংসাও করেছেন ঋষি তিনি। ঋষির ট্যুইট, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) এবং কোভিড টিকা কর্মসূচির বাস্তবায়নে দুর্দান্ত কাজ করেছেন বরিস।

Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.