ইউক্রেনকে ঘিরে পশ্চিমী দেশগুলির সঙ্গে সংঘাতে রাশিয়া, মস্কোর বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারির পথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, হুঙ্কার দিচ্ছে আমেরিকাও
ঠান্ডা যুদ্ধের পর ইউক্রেনকে ঘিরে ফের পশ্চিমী দেশগুলির সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে রাশিয়া। আটলান্টিকের অন্য পাড় থেকে হুঙ্কার দিচ্ছে আমেরিকাও। আপাতত রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কিছু কঠোর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ঠান্ডা যুদ্ধের পর ইউক্রেনকে ঘিরে ফের পশ্চিমী দেশগুলির সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে রাশিয়া। আটলান্টিকের অন্য পাড় থেকে হুঙ্কার দিচ্ছে আমেরিকাও। আপাতত রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কিছু কঠোর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
কিন্তু ক্রিমিয়া নিয়ে রাশিয়ার পিছু হঠার কোনও মনোভাবও ধরা পড়ছে না। সেক্ষেত্রে কতদূর গড়াবে দুই শিবিরের সংঘাত? জল্পনা জারি রয়েছে বিশ্বজুড়ে।এবারে একেবারে সরাসরি টক্কর। ওয়াশিংটন আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের হুমকি উপেক্ষা করেই ক্রিমিয়ার গণভোটকে স্বাগত জানিয়েছে মস্কো। আর্থিক সহায়তার প্রশ্নে ইউক্রেন কার সঙ্গে থাকবে তা নিয়েই সঙ্কটের শুরু। প্রথমে দ্বৈরথ ছিল ক্রেমলিনের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের। ইউরোপপন্থীদের চাপে প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ সরে যাওয়ার পরই সরাসরি আসরে নামে আমেরিকাও।
ততদিনে অবশ্য বেঁকে বসেছেন ইউক্রেনের রুশপন্থী মানুষ। এরফলে কিয়েভে পশ্চিমী দেশগুলোর সমর্থকরা সরকারে এলেও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে ইউক্রেন। রুশ অধ্যুষিত স্বশাসিত ক্রিমিয়া জানিয়ে দেয় কিয়েভের শাসন থেকে মুক্ত হয়ে রাশিয়ার সঙ্গে থাকতে চান তারা। ক্রিমিয়ায় রুশ সেনার উপস্থিতি পরিস্থিতিকে আরও ঘোরালো করে তোলে।
যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য মস্কো বিরোধিতায় আগেই সুর চড়িয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি। তাতে সামিল হয় ওয়াশিংটনও। ক্রিমিয়া প্রশ্নে রাশিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেয় ওবামা প্রশাসন।
তবুও অনড় ছিল রাশিয়া। পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাশের পর গণভোটেও রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার পক্ষে রায় দেন ক্রিমিয়ার অধিকাংশ মানুষ।
এবারে সরাসরি সেই গণভোটকেই চ্যালেঞ্জ করেছে আমেরিকা সহ পশ্চিমী দেশগুলি। তাঁদের অভিযোগ, ওই গণভোট আদতে মস্কোরই সাজানো। শুরু হয়ে যায় রাশিয়ার ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারির তোরজোরও।
ইউক্রেন পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে রাশিয়া বনাম পশ্চিমী জোটের সংঘাতকে আরও তীব্র করে তুলেছে। এই পরিস্থিতি কি সামরিক হস্তক্ষেপ পর্যন্ত গড়াবে? কিছুদিন আগেই রাশিয়ার বিরোধিতার জেরে যুদ্ধের দামামা বাজিয়েও সিরিয়া থেকে হাত গুটিয়ে নিতে হয়েছিল ওবামা প্রশাসনকে। ইউক্রেন সঙ্কট়ের পরিণতি কি অন্যরকম কিছু হবে? এনিয়ে জল্পনা এখন বিশ্বজুড়ে।