UN Forecast: বিশ্বজুড়েই ক্রমশ বাড়ছে অসহনীয় গরম, আগামী ৫ বছরে উষ্ণতায় রেকর্ড গড়ার শঙ্কা
El Nino Alert: প্যারিসে জলবায়ু চুক্তি সম্মেলনে বলা হয়েছে, প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় যে নির্দিষ্ট সীমা রাখা হয়েছে তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে তা পেরিয়েও যেতে পারে। কিংবা নির্দিষ্ট সীমার দুই তৃতীয়াংশও বৃদ্ধি পেতে পারে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, গোটা বিশ্বে যদি তাপমাত্রার এমন বাড়বাড়ন্ত হয়, তা নি:সন্দেহে চিন্তার।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রোদের তেজ বৃদ্ধিতে যে গরম দেখছে রাজ্য, তা কেবল বাংলাতেই নয়, দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বেই পরিস্থিতি এমন। অসহনীয় গরমে একের পর এক রেকর্ড তৈরি হয়েই চলেছে। এই প্রেক্ষাপটেই রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানান হয়েছে ২০২৩ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত গরম আরও বাড়বে। আগামী ৫ বছরে এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি হবে গোটা বিশ্বেই, সেই আশঙ্কার কথাই শোনা গিয়েছে। গ্রিন হাউস গ্যাসের দাপট এবং এল নিনোর প্রভাবে তাপমাত্রার এমন বাড়বাড়ন্ত বৃদ্ধি হতে চলেছে।
আরও পড়ুন, Religious Freedom in India: ভারতে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা! ফের দাবি আমেরিকার...
প্যারিসে জলবায়ু চুক্তি সম্মেলনে বলা হয়েছে, প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় যে নির্দিষ্ট সীমা রাখা হয়েছে তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে তা পেরিয়েও যেতে পারে। কিংবা নির্দিষ্ট সীমার দুই তৃতীয়াংশও বৃদ্ধি পেতে পারে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, গোটা বিশ্বে যদি তাপমাত্রার এমন বাড়বাড়ন্ত হয়, তা নি:সন্দেহে চিন্তার। শুধু আগামী বছরেই নয়, ২০১৫ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আট বছরে রেকর্ড গরম দেখেছে বিশ্ব। পূর্বাভাস যা ছিল তা থেকেও বেড়েছে তাপমাত্রার পারদ।
প্যারিসের ওই সম্মেলনে এও বলা হয়, বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই গড় তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি নতুন কোনও ঘটনা নয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৮৫০ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত তাপমাত্রা গড়ে বেড়েছিল ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, ২০১৫ থেকে ২০২২ মাত্র আট বছরে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২ ডিগ্রি।
এমনিতেই গ্রিন হাইস গ্যাসের আধিক্য বেড়ে যাওয়ায় তাপমাত্রা বেড়েছে। এরপর এই মুহূর্তে এল নিনো-ও ভাবাচ্ছে আবহবিদদের। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এর দাপট অনুভূত হবে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। চিলি, পেরু এবং দক্ষিণ আমেরিকা সংলগ্ন প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলবর্তী দেশগুলিতে এল নিনো দেখা যায়। এর ফলে মহাসাগরের জলস্তরের তাপমাত্রা একধাক্কায় বেড়ে যায়। ফলে তেতে ওঠে উপকুলবর্তী বায়ুমণ্ডলও।
সমুদ্রের তলদেশ থেকে ঠান্ডা জল উপরে উঠে আসতে পারে না। ফলে সমুদ্রের জলস্তর ঠান্ডা হওয়ার সুযোগ পায় না। এই এল নিনোর প্রভাবে তাপমাত্রা আরও ঊর্ধ্বগামী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, Sugar Vs Jaggery: কী এমন গুণ রয়েছে, কেন অধিকাংশ পুষ্টিবিদরা গুড়কেই বেশি গুরুত্ব দেন?