সিমলা চুক্তি উল্লেখ করে কাশ্মীর ইস্যুতে হস্তক্ষেপে নারাজ রাষ্ট্রসংঘ, সংযত থাকার বার্তা

"১৯৭২-এর সিমলা চুক্তি অনুযায়ী কাশ্মীর ইস্যুটি একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়। সেখানে তৃতীয় কারও মধ্যস্থতা করার কোনও জায়গা নেই।"

Updated By: Aug 9, 2019, 11:31 AM IST
সিমলা চুক্তি উল্লেখ করে কাশ্মীর ইস্যুতে হস্তক্ষেপে নারাজ রাষ্ট্রসংঘ, সংযত থাকার বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদন : সিমলা চুক্তির কথা মনে করিয়ে কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান দুপক্ষকেই সংযত থাকার বার্তা দিলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুটেরেস। সপ্তাহের শুরুতে সোমবার কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ ও রাজ্যকে ভেঙে ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে মোদী সরকার। তারপর বৃহস্পতিবারই প্রথম রাষ্ট্রসংঘের তরফে প্রতিক্রিয়া জানানো হল।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কাশ্মীর প্রসঙ্গে দুই দেশকেই সংযত থাকার কথা বলেন জম্মু-কাশ্মীরের সামহাসচিব অ্যান্তোনিও গুটেরেস। ওই অঞ্চলে স্থিতাবস্থা নষ্ট করতে পারে এমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া থেকে দু-দেশকেই বিরত থাকার অনুরোধ করেন তিনি। পাশাপাশি, সিমলা চুক্তির কথা উল্লেখ করে কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন গুটেরেসের মুখপাত্র। মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, "১৯৭২-এর সিমলা চুক্তি অনুযায়ী কাশ্মীর ইস্যুটি একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়। সেখানে তৃতীয় কারও মধ্যস্থতা করার কোনও জায়গা নেই। এই চুক্তি অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের কথা বলা হয়েছে।"

তবে, গোটা পরিস্থিতির উপর মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুটেরেস ও রাষ্ট্রসংঘ 'বিশদে নজর' রাখছে বলে জানিয়েছেন দুজারিক। যদিও কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই মুহূর্তে মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুটেরেস কোনও বক্তব্য রাখবেন না বলেই জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, ভারত সরকারের ৩৭০ বিলোপের সিদ্ধান্তকে পাকিস্তান 'একপাক্ষিক ও বেআইনি' বলে তোপ দাগে। পাশাপাশি কাশ্মীর নিয়ে ভারতের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যাওয়ার কথাও জানায় পাকিস্তান। একইসঙ্গে, বুধবার থেকে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান একের পর এক উস্কানিমূলক পদক্ষেপও নিয়েছে।

আরও পড়ুন, ওয়াঘায় ৩ ঘণ্টা আটকে সমঝোতা এক্সপ্রেস, ভারত থেকে চালক গিয়ে ফিরিয়ে আনলেন ১১০ যাত্রীকে

ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে পাকিস্তান। এরপরই পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ইসলামাবাদ ছাড়ান নির্দেশ দেওয়া হয়। স্থগিত করে দেয় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক। পাকিস্তানের আকাশপথ আংশিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর কাল সমঝোতা এক্সপ্রেস বন্ধের কথাও ঘোষণা করে পাকিস্তান। যার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় ভারতও। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ বিলোপ সম্পূর্ণরূপে ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে কড়া বিবৃতি জারি করা হয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। সেইসঙ্গে সন্ধ্যায় শ্রীনগর জেল থেকে জঙ্গি ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সহ ৭০ জনকে বায়ুসেনার বিমানে উড়িয়ে নিয়ে আসা হয় আগরায়।

.