প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে ভোট দিচ্ছেন মার্কিন ভোটদাতারা, হাড্ডাহাড্ডি টক্করের ইঙ্গিত সমীক্ষায়
ট্রাম্পের সমর্থকদের একাংশের মত, 'নির্বাচনে আসল ইস্যু কোনও ভোটে কাজ করে না। উদাহরণ ২০১৬। ট্রাম্প গতবারের তুলনায় আরও বেশি ভোটে জিতবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জনমত সমীক্ষাকে তেমনভাবে পাত্তাই দেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশের করোনা সংক্রমণকেও সেভাবে তিনি অবশ্য পাত্তা দেননি। বেশ কয়েকটি সমীক্ষায় বলা হচ্ছিল, ট্রাম্পের থেকে এগিয়েই রয়েছেন তাঁর প্রতিপক্ষা জো বাইডেন। নির্বাচনের আগেই এক সমীক্ষা বলছে অন্য কথা। বলা হচ্ছে, ট্রাম্প-বাইডেন লড়াই হতে পারে 'কাঁটে কা টক্কর'।
আরও পড়ুন-দুর্গাপুরে জলের সংকট, বন্ধ তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের কিছু ইউনিট, বৈঠকে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ
আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট নেওয়া হচ্ছে। তার আগে রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিক্স-এর করা এই সমীক্ষা ভাবাচ্ছে অনেককে। ওই সমীক্ষা মতে ট্রাম্পের থেকে বাইডেন দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে ২.৯০ শতাংশ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।
গত কয়েক দিনে দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে ১৫টি সমাবেশ করেছেন ট্রাম্প ও রিপাবলিকান দলের নেতারা। এতে বাইডেন জনমত সমীক্ষায় কিছুটা পিছিয়ে যান। নয়তো ২০০৮ সালের পর থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে এতটা এগিয়ে ছিলেন না কোনও প্রার্থী।
উল্টোদিকে, উপরাষ্ট্র পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস ও বারাক ওবামাকে নিয়ে দেশের একাধিক জায়গায় তোলপাড় করেছেন জো বাইডেন। ভোটগ্রহণের মুখে বাইডেন প্রচার করেছেন ওহিওতে, হ্যারিস ছিলেন পেনসিলভেনিয়ায় ও বারাক ওবামা প্রচার করেছেন ফ্লোরিডায়।
আরও পড়ুন-অফিস টাইমে ৬০০ যাত্রী নিয়ে বনগাঁ-ক্যানিং লোকাল! কীভাবে আটকানো সম্ভব?
ভোটের আগে নর্থ ক্যারোলিনা, ফ্লোরিডা, উইসকনসিন, পেনসিলভেনিয়া ও মিশিগানে প্রচার করেছেন ট্রাম্প। রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিক্সের মতে ওইসব প্রচারের ফলে ট্রাম্প বাইডেনের থেকে ৬.৫ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে যান। তবে দেশের অধিকাংশ মিডিয়াই বলছে, এবার ট্রাম্পের জেতা একটা বড় চ্য়ালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে।
তবে ট্রাম্পের সমর্থকদের একাংশের মত, 'নির্বাচনে আসল ইস্যু কোনও ভোটে কাজ করে না। উদাহরণ ২০১৬। ট্রাম্প গতবারের তুলনায় আরও বেশি ভোটে জিতবেন।' তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের অভিমত, জো বাইডেনের কাছে এবার টিকতে পারবেন না ট্রাম্প। সবেমিলিয়ে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই মার্কিন মুলুকে।