মোদীকে কাছে টানার ডাক দিলেন ওবামা

দেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করতে চায় আমেরিকা। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এই প্রেস বিবৃতিকে ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। কংগ্রেস ও তার সহযোগিরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বিবৃতিকে খুব একটা গুরুত্ব না দিলেও, অন্যান্যরা কিন্তু এই বিবৃতির অন্য ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তাঁদের মতে, বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এবার নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দূরত্ব কিছুটা কমাতে চাইছে ওয়াশিংটন।

Updated By: May 14, 2014, 11:05 AM IST

দেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করতে চায় আমেরিকা। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এই প্রেস বিবৃতিকে ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। কংগ্রেস ও তার সহযোগিরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বিবৃতিকে খুব একটা গুরুত্ব না দিলেও, অন্যান্যরা কিন্তু এই বিবৃতির অন্য ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তাঁদের মতে, বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এবার নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দূরত্ব কিছুটা কমাতে চাইছে ওয়াশিংটন।

সোমবার শেষ হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তারপরই এক প্রেস বিবৃতিতে মার্কিন প্ররেসিডেন্ট বারাক ওবামা জানান, দেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় ওয়াশিংটন। পাশাপাশি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রিক নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানান বারাক ওবামা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বিবৃতি ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। অনেকেই মনে করছেন, বুথ ফেরত সমীক্ষায় জনগণের রায় বিজেপির পক্ষে যাচ্ছে এটা ধরে নিয়েই এবার নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে স্বক্ষতা বাড়াতে চাইছে আমেরিকা। তবে এই তত্ত্ব মানতে নারাজ কংগ্রেস। তাদের মতে নির্বাচনের পরে যে দলই সরকার গঠন করুক, তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা আমেরিকার বিদেশ নীতি।

বারাক ওবামার বিবৃতির একই ব্যাখ্যা দিয়েছেন এনসিপি নেতা তারিখ আনওয়ার। তারা বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও কিন্তু বারাক ওবামার এই বিবৃতির মধ্যে অন্য অঙ্ক দেখছেন। তাঁদের মতে বুথ ফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত দেখেই হয়ত এখন থেকেই মোদীর সঙ্গে ব্যবধান কমানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিল ওয়াশিংটন।

১৯৯৮ সালের মার্কিন আইনে বলা হয়েছে, যাঁরা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন কিংবা সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় জড়িত, তাঁদের আমেরিকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। তারজন্যই ২০০৫ নরেন্দ্র মোদীকে মার্কিন ভিসা দেওয়া হয়নি। তবে এবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে ওয়াশিংটনের বিদেশ নীতি কি বদলাবে? এব্যাপারে এখনও কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলে নি। উত্তর মেলেনি মার্কিন বিদেশ দফতরের থেকেও।

.