শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভোট দেওয়ার ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর

শেষ পর্যন্ত প্রবল আন্তর্জাতিক চাপ এবং ঘরোয়া রাজনীতির বাধ্যবাধকতার কারণে ২০০৯ সালে এলটিটিই দমনের নামে শ্রীলঙ্কা ফৌজের নির্মম তামিল নিধন নিয়ে পদক্ষেপ করতে চলতে মনমোহন সরকার। সোমবার মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। মাহিন্দা রাজাপক্ষে সরকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসঙ্ঘে আনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রস্তাবের পক্ষে ভারত ভোট দিতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Updated By: Mar 19, 2012, 05:43 PM IST

শেষ পর্যন্ত প্রবল আন্তর্জাতিক চাপ এবং ঘরোয়া রাজনীতির বাধ্যবাধকতার কারণে ২০০৯ সালে এলটিটিই দমনের নামে শ্রীলঙ্কা ফৌজের নির্মম তামিল নিধন নিয়ে পদক্ষেপ করতে চলতে মনমোহন সরকার। সোমবার মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। মাহিন্দা রাজাপক্ষে সরকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসঙ্ঘে আনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রস্তাবের পক্ষে ভারত ভোট দিতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মনমোহন সিং বলেন, শ্রীলঙ্কার তামিল জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারে নয়াদিল্লির দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রস্তাব যদি সঙ্গতিপূর্ণ হয় তবে তা সমর্থন করতে কোনও অসুবিধে নেই।
তামিল টাইগারদের দমনের নামে ২০০৮-এ শ্রীলঙ্কা ফৌজের শুরু করা `নর্দান অফেন্সিভ`-এর সময় নির্মম তামিল সংহারের বেশ কিছু কীর্তিকলাপ এর আগেও ফাঁস করেছে লন্ডনের এই নিউজ চ্যানেলটি। ২০০৯ সালের মে মাসে উত্তর-পূর্ব শ্রীলঙ্কার মুল্লাইতিভু শহরের অদূরে শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর চূড়ান্ত পর্যায়ের অপারেশনে মারা যান ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ-সহ টাইগারদের প্রায় সমস্ত শীর্ষনেতা। প্রভাকরণের স্ত্রী মাথিবাদিনী, মেয়ে দ্বারকা, বড় ছেলে তথা এলটিটিই`র বিমান শাখার প্রধান চার্লস অ্যান্টনি এবং ছোট ছেলে, ১২ বছরের বালাচন্দ্রনও নিহত হন লঙ্কা ফৌজের এই `ফাইনাল স্ট্রাইক`-এ। চ্যানেল ফোর-এর দাবি এঁদের প্রত্যেককেই ধরে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে।

সম্প্রতি ব্রিটেনের বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম `চ্যানেল ফোর`-এর তরফে জেনেভার এফআইএফডিএইচ তথ্যচিত্র উত্‍সবে লিবারেশন টাইগার অফ তামিল ইলম (এলটিটিই) সুপ্রিমো ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণের ছোট ছেলে বালাচন্দ্রনকে খুনের ছবি প্রকাশ করা হয়। এর আগে তথ্যচিত্র `শ্রীলঙ্কা`স কিলিং ফিল্ডস`-এ নান্থিকাদাল লেগুনের কাছে তথাকথিত `নো ফায়ার জোন`-এ এলটিটিই দমনের নামে সাধারণ তামিল নাগরিকদের উপর বোমা ও গুলিবর্ষণের `ফুটেজ`ও প্রকাশ করেছে চ্যানেল ফোর। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই কলম্বোর এই `এথনিক ক্লিনজিং`-এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রস্তাব পেশ হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘেও।
এই পরিস্থিতিতে রাজাপক্ষে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছিল ডিএমকে, এআইএডিএমকে, এমডিএমকে-র মতো তামিল দলগুলি। এদিন রাষ্ট্রসঙ্ঘে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে কার্যত করুণানিধি, জয়ললিতা, ভাইকো`দের সেই দাবি মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

.