কোভিড সারলেও মারাত্মক ভুগতে হবে এই সব রোগে, সতর্ক করল WHO
নয়া মিউটেশনের দাপটে ত্রস্ত একাধিক দেশ। তবে এখনই শেষ নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্রমশ বিশ্বজুড়ে বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাস (coronavirus)। এবার রূপ ওমিক্রন (omicron)। নয়া মিউটেশনের দাপটে ত্রস্ত একাধিক দেশ। তবে এখনই শেষ নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, শীত শেষেই আরও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হবে বিশ্ব। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাড়বে ফুসফুসজনিত রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরিবিভাগের সদস্য মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বুধবার বলেছেন, যত বেশি জনসংখ্যা বাড়বে ও মেলামেশা চলতে থাকবে, তত ফুসফুসে আক্রমণকারী বেশ কিছু রোগজীবাণু বাড়বে৷
যা ক্রমে প্রাদুর্ভাবে পরিণত হবে৷ আসন্ন এই রোগগুলি নিয়ে তাই আগাম সতর্কবার্তা জারি করেছে হু। তথ্য অনুসারে, গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে ১৫ মিলিয়নেরও বেশি নতুন কোভিড ১৯ কেস রিপোর্ট করা হয়েছে, যা এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট করা সবচেয়ে বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাসের মতে, "ওমিক্রন ভেরিয়েন্টটি প্রায় সব দেশে ছড়িয়েছে। ডেল্টার যা সংক্রমণ ছিল, তার চেয়ে অনেক দ্রুতগতিতে ছড়িয়েছে এই প্রজাতিটি।"
আরও পড়ুন, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে আমেরিকার মুদ্রায় স্থান পেলেন Maya Angelou
ওমিক্রনের তীব্রতা থাকলেও বেশিরভাগ দেশে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়নি। হু প্রধানের মতে, টিকাকরণ ওমিক্রনের ভয়াবহতা হ্রাস করেছে। মানবদেহে অনাক্রম্যতা তৈরি হয়ে যাওয়ায় মারণ হতে পারেনি ওমিক্রন। তবে সংক্রমণ এখনও ঠেকানো যায়নি। বরং হু হু বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। এর ফলে স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্র ইতিমধ্যেই বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। একাধিক চিকিৎসক, নার্স আক্রান্ত হচ্ছে এই প্রজাতিতে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন অ্যানালাইসিস’ (CDC) জানিয়েছে, কাশি, অত্যধিক ক্লান্তি, নাক বন্ধ এবং নাক দিয়ে জল পড়া ওমিক্রন রূপের সাধারণ উপসর্গ। এছাড়াও হালকা জ্বরও থাকছে। কিন্তু এর বাইরে কোনও উপসর্গ বেশিদিন থাকলেই বুঝতে হবে আপনি শুধু করোনা নয়, অন্য কোনও রোগেও ভুগছেন। যা করোনা থেকেও আসতে পারে৷ তাই দেরি না করে সেক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিন।