কম্পিউটার বিপর্যয়- বন্ধ হতে চলেছে উইনডোজ এক্সপি!
এ বার বন্ধ হওয়ার মুখে আমজনতার ফেভারিট উইনডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেম! বিশ্বের সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত উইনডোজ এক্সপি-র বন্ধ হওয়ার খবরটা বিপর্যয় হিসাবে দেখছে বিশেষজ্ঞমহল। মাইক্রোসফটের এই সিদ্ধান্তে দেশ বিদেশের সরকারি -বেসরকারি অফিস, ব্যাঙ্কের কাজকর্ম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
এ বার বন্ধ হওয়ার মুখে আমজনতার ফেভারিট উইনডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেম! বিশ্বের সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত উইনডোজ এক্সপি-র বন্ধ হওয়ার খবরটা বিপর্যয় হিসাবে দেখছে বিশেষজ্ঞমহল। মাইক্রোসফটের এই সিদ্ধান্তে দেশ বিদেশের সরকারি -বেসরকারি অফিস, ব্যাঙ্কের কাজকর্ম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে পরের বছর ৮ এপ্রিল থেকে উইনডোজ এক্সপির যাবতীয় আপডেট বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরফলে আপনি কোনওভবেই আপনার কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমকে অনলাইন আপডেট করতে পারবেন না। সিকিউরিটি প্যাচ ফাইল, সিকিউরিটি আপডেট সিস্টেম, নন সিকিউরিটি হট ফিক্স সহ যাবতীয় ফাইল মাইক্রোসফট আর পরিষেবাপ্রদান বন্ধ করে দিচ্ছে। ততক্ষণই আশঙ্কা দেখা দিতে পারে হ্যাকারদের দাপট। আপনার সিস্টেমে সিকিউরিটি আপডেট না থাকলে হ্যাকাররা খুব সহজেই আপনার যাবতীয় ডাটা তাদের দখলে নিতে পারে।
ইতিমধ্যে ভারতীয় কমপিউটার সংরক্ষণ দল (সিইআরটি-ইন) জানিয়েছেন, সফটওয়ার ও হার্ডওয়ার বিক্রেতারা উইনডোজ সার্পোটেড কোনও জিনিস বিক্রি করবেন না। এই সংস্থা আরও জানিয়েছেন যেসব প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি উইনডোজ এক্সপি ব্যবহার করছেন তাঁরা যেন এখন থেকেই উইনডোজের নতুন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন।
উইনডোস এক্সপি বাজারে আসে ২০০১ সালের অগস্ট মাসে। শুরুতেই সাড়া ফেলে দেয় এই ওএস। কমপিউটার জগতে এক নতুন দিশা দেখায়। এরপর মাইক্রোসফট আরও নতুন অপারেটিং সিস্টেম বাজারে নিয়ে আসে। ভিসতা ২০০৬, উইনডোজ সেভেন ২০০৯, উইনডোজ এইট ২০১২ অনেক বেশি নতুন, আপগ্রেডেট সিস্টেম হলেও এই প্রজন্মের কমপিউটার শিক্ষার হাতেখড়ি হল সেই উইনডোজ এক্সপি।