ক্ষুদ্রতম ব্যাঙের সন্ধান মিলল পাপুয়ায়

`বারিস্নাত এই চিরহরিত্‍ বনানীতে লুকিয়ে আছে প্রকৃতির অনেক অজানা রহস্য`! উনবিংশ শতাব্দীতে পাপুয়া-নিউগিনির জঙ্গলে গবেষণার কাজে এসে এমনই মন্তব্য করেছিলেন কিংবদন্তী প্রকৃতিবিজ্ঞানী ড. অটো ফিঞ্চ।

Updated By: Jan 13, 2012, 07:21 PM IST

'বারিস্নাত এই চিরহরিত্‍ বনানীতে লুকিয়ে আছে প্রকৃতির অনেক অজানা রহস্য'! উনবিংশ শতাব্দীতে পাপুয়া-নিউগিনির জঙ্গলে গবেষণার কাজে এসে এমনই মন্তব্য করেছিলেন কিংবদন্তী প্রকৃতিবিজ্ঞানী ড. অটো ফিঞ্চ। জার্মান প্রাণী বিশেষজ্ঞের এই ভবিষ্যত্‍বাণী সত্য প্রমাণিত করে বিগত এক শতকে অনেক অনাবিষ্কৃত জীব প্রজাতির সন্ধান দিয়েছে দক্ষিণ গোলার্ধের 'বায়োলজিক্যাল হট-স্পট' হিসেবে পরিচিত এই দ্বীপ। সেই দীর্ঘ তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন, বিশ্বের ক্ষুদ্রতম ব্যাঙ!
'পায়েডোফ্রাইন অ্যামাউয়েনসিস' নামের ৭ মিলিমিটার বা ০.২৭ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের এই নব-আবিষ্কৃত ব্যাঙটি মার্কিন যুক্তরাষ্টের একদল গবেষক সন্ধান পেয়েছেন পাপুয়া-নিউগিনির দুর্গম জঙ্গলে। অতি ক্ষুদ্র, ছোট পোকার আকৃতির এই ব্যাঙেরা ঘন বনের ভিতর গাছের জমে থাকা পাতার স্তুপের নিচে লুকিয়ে থাকে। ফলে খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন।

আমেরিকার লুইসিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির ওই গবেষক দলের প্রধান ক্রিস অস্টিনের দাবি, পাপুয়া-নিউগিনির এই বনটি রাতের বেলা আশ্চর্যজনক ভাবে সরব হয়ে ওঠে। তাঁরা প্রথমে অন্য কয়েকটি বিরল প্রজাতির প্রজাতির উভচরের ডাক রেকর্ড করার চেষ্টা করছিলেন। সে সময় অন্য ধরনের একটি শব্দ কৌতুহলী করে তোলে। শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়ে পাতার স্তুপের তলায় কয়েকটি ব্যাঙ দেখতে পান তাঁরা।
এগুলো এতোই ছোট যে অন্ধকারে পোকা বলে মনে হচ্ছিল। তাই ব্যাঙ-সমেত কয়েক মুঠো পচা পাতা প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে ক্যাম্পে ফিরে আসেন তাঁরা। আর এরপরই বিশ্বের জীবজগতের তালিকায় সংযোজিত হয় নতুন একটি প্রজাতির নাম। প্রসঙ্গত, পায়েডোফ্রাইন-এর আগে ব্রাজিলের সোনা ব্যাঙই বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ব্যাঙ হিসেবে স্বীকৃত ছিল।

.