ইলিশ, চিংড়ি, স্বাচ্ছন্দ্যে কোটির অঙ্ক ছুঁল শততম প্রশাসনিক বৈঠক
ইলিশ, চিংড়ি সঙ্গে মাটন। শেষপাতে শক্তিগড়ের ল্যাংচা। মুখ্যমন্ত্রীর শততম প্রশাসনিক বৈঠকে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন ছিল এমনই এলাহি। ৬০০ প্রতিনিধির স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য ব্যবস্থা ছিল এসিরও। খরচের বহর কোটি ছুঁইছুঁই।
মুখ্যমন্ত্রীর শততম প্রশাসনিক বৈঠক। মন্ত্রী, সচিব , বিধায়ক অন্যান্য প্রতিনিধি মিলিয়ে নিমন্ত্রিতের সংখ্যা ছশোর ওপর। আপ্যায়নেও ক্রটি রাখতে চায়নি প্রশাসন। মেনুকার্ড থেকে পরিবহণ সব আয়োজনই ছিল এ ক্লাস। মেনুকার্ডের দিকে চোখ রাখলে জিভে জল আটকানো অসম্ভব। কী ছিল মেনুতে? বরং বলা ভাল কী ছিল না?
মেনুকার্ড
----
ভাত
ভাপা ইলিশ
গলদা চিংড়ির মালাইকারি
পাবদার ঝাল
ভেটকির ফ্রাই
চিকেন
মাটন
দই
শক্তিগড়ে ল্যাংচা
রসমালাই
সীতাভোগ
মিহিদানা
তবে, সবাই যে ব্যুফেতে খাবারের সুযোগ পাবেন তা নয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির নিমন্ত্রিতদের জন্য বরাদ্দ প্যাকেট। প্যাকেটও কম লোভনীয় নয়। প্যাকেটে রয়েছে ভেজ স্যান্ডুইচ, স্ন্যাকস, ফ্রুট জুস, ভেজ কাটলেট, চিলি পনির, সন্দেশ ও ফল।
শুধু খাওয়া দাওয়া নয়, আমলা বিধায়কদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য ব্যবস্থা ছিল পাখা ও এসির। প্রতিনিধিদের গাড়ি ও ভলভো বাসে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বর্ধমানে। এমন রাজকীয় ব্যবস্থার খরচের অঙ্কটাও নজরকাড়া। মোট খরচ কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই।
ম্যারাপ,মঞ্চ, ফ্লেক্স : ৬৫ লক্ষ
বৈদ্যুতিক সরঞ্জমা: ৬ লক্ষ
খাবার ও জল: ২০ লক্ষ
পরিবহণ: ৬ লক্ষ
উপহার: ২ লক্ষ
মুখ্যমন্ত্রীর শততম বৈঠক ঘিরে সমালোচনার ঝড় নানা মহলে। একপক্ষের মত, এই পদক্ষেপে উন্নয়নের চাকা ঘুরছে, গতি পাচ্ছে প্রশাসন। বিরোধীদের পাল্টা অভিযোগ, মেলা খেলার মতো প্রশাসনিক বৈঠকের নামে আদতে টাকা নয়ছয় করছে রাজ্য।