দারিদ্রের অভিশাপে দেদার বিকোচ্ছে শৈশব, ২৪ ঘণ্টার বিশেষ রিপোর্ট
কীভাবে চলে শিশুবিক্রির দুষ্টচক্র? ২৪ ঘণ্টার তদন্তে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুধু পুরাতন মালদায় নয়, মালদার বিভিন্ন জায়গায় জাল বিস্তার করেছে শিশু বিক্রি চক্রের পাণ্ডারা। সন্তান তৈরির যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে দরিদ্র মহিলাদের।
মালদা এখন শিশু বিক্রি চক্রের মূল টার্গেট। শুধু পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ি নয়, গাজোল, হবিবপুর, বামনগোলার মতো আদিবাসী প্রধান এলাকায় থাবা বসিয়েছে শিশু বিক্রি চক্র। কীভাবে অপারেশন চালাচ্ছে এই চক্র? জানা যাচ্ছে, শিশু বিক্রি চক্রের মূল নিশানায় থাকে দারিদ্রসীমা বা অতি দরিদ্র মানুষরা। রুটি রুজির জন্য যাঁরা অন্যের ওপর নির্ভরশীল। সেই তালিকায় বাংলাদেশ থেকে আসা হতদরিদ্র পরিবার যেমন আছে, তেমনই রয়েছে গঙ্গার ভাঙনে উদ্বাস্ত পরিবার। আবার স্বামী কর্মসূত্রে বিদেশে রয়েছে এমন মহিলাও নিশানা হয়ে থাকেন। বাদ যায় না বাবা-মা হারা, বিয়ে না হওয়া মহিলারাও। বিয়ের প্রতিশ্রুতি বা অন্য প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের সঙ্গে সহবাস শুরু করেন শিশুচক্রের পান্ডারা। তারপর সেই সম্পর্ক থেকে জন্ম নেওয়া শিশুরাই হয়ে ওঠে বিক্রির পণ্য। লোকলজ্জার ভয়ে মহিলারাও চুপ করে থাকেন। শিশুর জন্মের পর তাঁরা বাধ্য হন চক্রের পাণ্ডাদের হাতে নিজের শিশুকে তুলে দিতে।
শিশু বিক্রির চক্রের রমরমার কারণ হিসেবে মালদহের ভৌগলিক পরিস্থতিও কিছুটা সাহায্য করেছে। এই জেলার সঙ্গে পশ্চিমে যোগ রয়েছে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের। পূর্বদিকে বাংলাদেশ। উত্তরে হাতের নাগালে শিলিগুড়ি। এবং শিলিগুড়ি দিয়ে অনায়াসেই পৌছে যাওয়া যায় নেপাল, ভূটান এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে। যোগাযোগ ব্যবস্থার এই সুবিধাই শিশুপাচারে সুবিধা করে দিচ্ছে বলে মনে করছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।