ট্রেন যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মারে মৃত ৩ দুষ্কৃতী
গণপিটুনিতে মৃত্যু হল ৩ জন দুষ্কৃতীর। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জগদ্দলের স্টেশন রোডে। ট্রেন থেকে ছিনতাই করে পালিয়ে স্থানীয় একটি বাড়িতে ডাকাতি করতে যায় দুষ্কৃতীরা।
গণপিটুনিতে মৃত্যু হল ৩ জন দুষ্কৃতীর। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জগদ্দলের স্টেশন রোডে। ট্রেন থেকে ছিনতাই করে পালিয়ে স্থানীয় একটি বাড়িতে ডাকাতি করতে যায় দুষ্কৃতীরা। তখনই স্থানীয় বাসিন্দারা এবং ট্রেন যাত্রীদের মারধরে মৃত্যু হয় ৩ জনের। মৃত ২ জন দুষ্কৃতীর পরিচয় জানা গিয়েছে। মহম্মদ শারজাদ এবং মহম্মদ আবেদ আলি নামে এই দুজন দুষ্কৃতীর নামে তোলাবাজি, ছিনতাই সহ একাধিক অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে। আরও এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে দিন কয়েক ধরেই ছিনতাই এবং ডাকাতির ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। এদিন রাতে একটি লোকাল ট্রেনে ওঠে ৪-৫ জনের একটি দুষ্কৃতী দল। ট্রেনে ছিনতাই করে তারা নেমে যায় জগদ্দল স্টেশনে। কিছু যাত্রীও তখন থেকেই তাদের ধাওয়া শুরু করে। জগদ্দল স্টেশন সংলগ্ন সন্ধিয়াপাড়াতে ঢুকে যায় দুষ্কৃতীরা। একটি বাড়িতে ডাকাতি করতে ঢোকে তারা। দুষ্কৃতীরা গুলি ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। গুলির শব্দেই হাজির হয় ওই এলাকায় রাতে পাহারায় থাকা লোকজন। তাঁদের চিত্কারে স্থানীয় বাসিন্দারা বেরিয়ে আসেন। ট্রেন যাত্রীরাও হাজির হন। এরপরই শুরু হয় প্রচণ্ড মারধর। উত্তেজিত বাসিন্দাদের মারেই মৃত্যু হয় ৩ জনের।
একজন দুষ্কৃতীকে পুলিসের হাতে তুলে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে হাজির হয় বিশাল পুলিসবাহিনী। নিহত দুষ্কৃতীদের একজনের পকেট থেকে একটি সোনার হার উদ্ধার করেছে পুলিস। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা। জানা গেছে, ট্রেনে ছিনতাইয়ের সময় এই দুষ্কৃতীরা দুজন যাত্রীকেও মারধর করে। আহত ওই যাত্রীর চিকিত্সা করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে।