তাপবিদ্যুত্কেন্দ্র নিয়ে আশঙ্কার ছায়া সুন্দরবনের ওপর
বাংলাদেশের সুন্দরবন লাগোয়া বাগেরহাটে প্রস্তাবিত তাপবিদ্যুত্ প্রকল্প ঘিরে অশঙ্কার মেঘ দেখছেন পরিবেশবিদরা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে ও সুন্দরবনের সীমানা থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে তৈরি হতে চলেছে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই প্রকল্প।
বাংলাদেশের সুন্দরবন লাগোয়া বাগেরহাটে প্রস্তাবিত তাপবিদ্যুত্ প্রকল্প ঘিরে অশঙ্কার মেঘ দেখছেন পরিবেশবিদরা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে ও সুন্দরবনের সীমানা থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে তৈরি হতে চলেছে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই প্রকল্প। ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং বাংলাদেশের পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হবে এই প্রকল্প।
গতবছর এনটিপিসি ফিসিবিলিটি রিপোর্ট জমা দিলেও পরিবেশের ওপর প্রভাব সংক্রান্ত রিপোর্ট বা এনভায়রমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট জমা দেয়নি। তার আগেই জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর।
পরিবেশপ্রেমীদের আশঙ্কা
* এই তাপবিদ্যুত্ প্রকল্প থেকে বিপুল কার্বন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড ও ফ্লাই অ্যাস নির্গত হবে
* প্রকল্পের উষ্ণ জল মিশবে পুশুর নদীর জলে
* প্রকল্পের বর্জ্যের মাধ্যমে ছড়াতে পারে আর্সেনিক, মার্কারি বা সিসার মতো ক্ষতিকারক মৌল
* সুন্দরবনের জীববৈচিত্রের ওপর যার ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে
* প্রায় ২০ হাজার মত্সজীবীর জীবিকা বিপন্ন হতে পারে
এনটিপিসির দাবি, দূষণের মাত্রা কমাতে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। তবে তাতেও আশ্বস্ত নন পরিবেশবিদরা। তাঁদের মতে দুই দেশের সরকার একযোগে উদ্যোগ নিক সুন্দরবনকে রক্ষা করতে।