শ্রীরামপুরে ধৃত ৫ পাক নাগরিক
টিটাগড় থেকে পাঁচ পাক নাগরিককে গ্রেফতার করল হুগলির শ্রীরামপুর থানার পুলিস। প্রায় একবছর তাঁরা রয়েছেন এ রাজ্যে। অভিযোগ, ব্যারাকপুর পুরসভার আঠারো নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট পান তাঁরা। সার্টিফিকেটের কথা স্বীকার করেছেন কাউন্সিলরের স্বামী। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিস।
টিটাগড় থেকে পাঁচ পাক নাগরিককে গ্রেফতার করল হুগলির শ্রীরামপুর থানার পুলিস। প্রায় একবছর তাঁরা রয়েছেন এ রাজ্যে। অভিযোগ, ব্যারাকপুর পুরসভার আঠারো নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট পান তাঁরা। সার্টিফিকেটের কথা স্বীকার করেছেন কাউন্সিলরের স্বামী। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিস।
পঞ্জাবের আটারি সীমান্ত দিয়ে ২০১১ সালের ১৪ এপ্রিল ভারতে ঢোকেন এই পাঁচ পাকিস্তানি নাগরিক। তেষট্টি বছরের নবাব খান, তাঁর স্ত্রী শাজয়ান বেগম, ও তাঁদের তিন সন্তান আমির খান, ইশরাত খান ও আজরা খান। এঁদের বাড়ি করাচির রহিম শাহ কলোনিতে। গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে প্রথমে এঁরা হুগলির রিষড়ায় আর কে রোডে এক পরিচিতের বাড়িতে থাকতেন। পরে চলে যান উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে। গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে টিটাগড় থেকে রবিবার তাঁদের গ্রেফতার করে হুগলির শ্রীরামপুর থানার পুলিস।
ধৃতদের জেরা করে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযোগ, ব্যারাকপুক পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কাছ থেকে তাঁরা পেয়েছিলেন রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট। অভিযোগ, পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে এই সার্টিফিকেট পান তাঁরা। যার ভিত্তিতে তাঁরা তৈরি করে ফেলেন প্যান কার্ড। স্থানীয় ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্টও খোলেন তাঁরা।
ঘুষের কথা অস্বীকার করলেও, সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর আমরিন তৈয়ফের স্বামী নৌসাদ আলম।
পাঁচ পাকিস্তানি নাগরিক গ্রেফতারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে টিটাগড়ে। টিটাগড়ে রাজিয়া সুলতানার বাড়িতে ভাড়া থাকত নবাব খানের পরিবার। ধৃতদের আসল পরিচয় জানার পর, আতঙ্কিত বাড়িওয়ালার পরিবারও।
নবাব খান ও তাঁর ছেলে আমির খানের সাতদিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যারাকপুর আদালত। পরিবারের মহিলা সদস্যদের পাঠানো হয়েছে চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতে। ধৃতদের জঙ্গি যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।