তিনটি পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৯
শুক্রবার রাতে রাজ্যের তিন জেলায় তিনটি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় নিহত হলেন ৯ জন। মৃতদের মধ্যে এক বিএসএফ এবং এক পুলিসকর্মীও রয়েছেন।
শুক্রবার রাতে রাজ্যের তিন জেলায় তিনটি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় নিহত হলেন ৯ জন। মৃতদের মধ্যে এক বিএসএফ এবং এক পুলিসকর্মীও রয়েছেন।
শুক্রবার রাতে বালুরঘাট থানার পতিরাম এলাকায় লরি ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল ৭ জনের। রাত দশটা নাগাদ বিএসএফ গেটের কাছে ১০ চাকার লরির ধাক্কায় উল্টে যায় যাত্রীবোঝাই পিকআপ ভ্যানটি। স্থানীয় বাসিন্দা এবং পতিরাম ফাঁড়ির পুলিসের উদ্যোগে গুরুতর আহত যাত্রীদের বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, দুর্ঘটনাগ্রস্তদের মধ্যে ৬ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। এক জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে জনা দশেক ভ্যানযাত্রীকে। জানা গেছে, সন্ধেয় চকভাতশালা গ্রাম থেকে জনা তিরিশেক বরযাত্রী নিয়ে রওনা হয়েছিল একটি পিকআপভ্যান। তবে আত্রেয়ী সেতু পার করেই ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। পতিরাম বিএসএফ গেটের সামনে দশচাকার একটি লরির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পিকআপভ্যানটির। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় যাত্রীবোঝাই ভ্যানটি।
অন্যদিকে শুক্রবার পথদুর্ঘটনায় এক বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় নদিয়ার চাপড়া থানা এলাকায়। জানা গেছে, কৃষ্ণনগর থেকে করিমপুর গামী একটি বেসরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিষে দেয় ওই জওয়ানকে। এরপরেই সীমানগর এলাকায় দশ-বারোটি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা এবং বিএসএফ জওয়ানরা। ঘাতক বাসটিতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার গভীর রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জিপ উল্টে মৃত্যু হয় এক পুলিসকর্মীর। দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তি সাব ইন্সপেক্টর তপন মণ্ডলের। হাসপাতালে ভর্তি তিন কনস্টেবল। জিপের পুলিসকর্মীরা সকলেই খড়গপুর গ্রামীণ থানার কর্মী।