হেফাজতই চাইল না পুলিস, বর্ধমানে ধৃতরা জেলে
বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে দুই সিপিআইএম নেতাকে খুনের ঘটনায় ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিতে আবেদনই জানাল না পুলিস। ফলে এদিন ধৃত চার তৃণমূল কর্মীকে ৬ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দয়েছে আদালত। ঘটনায় ফের রাজ্য প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ খুনের মামলায় তদন্তের স্বার্থে সাধারণত ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিস। কিন্তু প্রদীপ তা ও কমল গায়েন খুনের ঘটনায় তেমনটা না-হওয়ায় বিস্মিত আইনজীবীরাও।
বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে দুই সিপিআইএম নেতাকে খুনের ঘটনায় ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিতে আবেদনই জানাল না পুলিস। ফলে এদিন ধৃত চার তৃণমূল কর্মীকে ৬ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দয়েছে আদালত। ঘটনায় ফের রাজ্য প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ খুনের মামলায় তদন্তের স্বার্থে সাধারণত ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিস। কিন্তু প্রদীপ তা ও কমল গায়েন খুনের ঘটনায় তেমনটা না-হওয়ায় বিস্মিত আইনজীবীরাও।
ধৃত পতিতপাবন তা, সুরজিত তা, ভূপাল গোস্বামী ও ছোটন গোস্বামীকে বহস্পতিবার বর্ধমান জেলা আদালতে হাজির করে পুলিস। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ৩০২ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদনই জানায়নি পুলিস। সে কারণে বিচারক তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। যদিও বর্ধমানের পুলিস সুপার বলেন, "ধৃতরা খুনের সঙ্গে জড়িত বলে কবুল করেছে। তাছাড়া খুনে ব্যবহৃত যাবতীয় অস্ত্রও ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে। ফলে পুলিস হেফাজতের আবেদন জানানো হয়নি।" যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না-করতেই ওপরমহলের নির্দেশে এই কাজ করেছে পুলিস।