মাহীর পর রোশন, ফের গর্তে পরে দুর্ঘটনায় মৃত্যু

মাহির মর্মান্তিক মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একই রকম দুর্ঘটনা ঘটল হাওড়ায়। আজ দুপুরে লিলুয়ার একসরায় গভীর কুয়োয় পড়ে মৃত্যু হয় বছর ষোলোর কিশোর রোশন পানেরির। তবে এখনও তার দেহ উদ্ধার করা যায়নি।

Updated By: Jun 24, 2012, 07:49 PM IST

মাহির মর্মান্তিক মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একই রকম দুর্ঘটনা ঘটল হাওড়ায়। আজ দুপুরে লিলুয়ার একসরায় গভীর কুয়োয় পড়ে মৃত্যু হয় বছর ষোলোর কিশোর রোশন পানেরির। তবে এখনও তার দেহ উদ্ধার করা যায়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উপস্থিত রয়েছেন মেট্রো রেলের ইঞ্জিনিয়াররাও।
পাতকুয়োর বের নরম হওয়ায় তা বারবারই ধসে পড়ছে। তাই ডুবুরি নামানো হলেও ডুবুরিকে তুলে নিতে হয়। কিশোরের দেহ দেখতে পাওয়া গেছে বলে উঠে এসে জানিয়েছেন ডুবুরি। কুয়োর পাশে একটি গর্ত খুঁড়ে কিশোরের কাছে পৌঁছনোর ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। এ জন্য মেট্রোর উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ড্রিলিং মেশিন নিয়ে আসা হতে পারে। তবে এর মধ্যেই পাম্প করে কুয়োর জল তোলারও চেষ্টা চলছে। জলা এলাকা হওয়ায় আশপাশের থেকে জল ঢুকে পড়ছে। এদিকে রাজ্য প্রশাসনের তরফে বিএসএফকে তৈরি থাকতেও বলা হয়েছে। প্রয়োজনে মধ্যমগ্রামের বাদু থেকে বিএসএফের দল আসতে পারে ঘটনাস্থলে। হাওড়ার ক্যারি রোডের সিভিল ডিফেন্স দফতর থেকে আনা হচ্ছে সার্চ ক্যামেরা।
২০০৬ সাল থেকে গত ৬ বছরে অন্তত ৪ বার এই রকম ঘটনা ঘটেছে। খেলা করতে করতে পা পিছলে গভীর গর্তে পড়ে গেছে শিশুগুলি। কখনও তাদের জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কখনও গহ্বরের অন্ধকারেই মারা গেছে শিশুরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও বন্ধ হয়নি বেআইনি ভাবে গর্ত খুঁড়ে রাখা। বেআইনি ভাবে খুঁড়ে রাখা নলকূপের গর্তের মধ্যেই পড়ে যায় মাহি। ইতিমধ্যেই মাহির ঘটনা নিয়ে হরিয়ানা সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন বা এনসিপিসিআর।

.