বেআইনি হকার উচ্ছেদকে ঘিরে রণক্ষেত্র বারুইপুর স্টেশন চত্বর
বেআইনি হকার উচ্ছেদ ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বারুইপুর স্টেশন চত্বর। চলল ব্যাপক বোমাবাজি। উচ্ছেদে গিয়ে আক্রান্ত হন ৪ রেল কর্মী। যাত্রী সুরক্ষার কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত উচ্ছেদ স্থগিত করল রেল কর্তৃপক্ষ।
ওয়েব ডেস্ক: বেআইনি হকার উচ্ছেদ ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বারুইপুর স্টেশন চত্বর। চলল ব্যাপক বোমাবাজি। উচ্ছেদে গিয়ে আক্রান্ত হন ৪ রেল কর্মী। যাত্রী সুরক্ষার কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত উচ্ছেদ স্থগিত করল রেল কর্তৃপক্ষ।
বেআইনি হকার উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে শনিবার ধুন্ধুমার বারুইপুর স্টেশন চত্বরে। উচ্ছেদের খবর পেয়ে সকাল থেকেই স্টেশন চত্বরে জমায়েত শুরু করেন INTTUC-র হকার সংগঠনের কর্মীরা। তাদের অভিযোগ বিনা নোটিসেই উচ্ছেদ অভিযান কর্মসূচি নিয়েছে রেল।
শনিবার রেলের কর্মীরা উচ্ছেদের জন্য এলে তাদের সঙ্গে ধুন্ধুমার সংঘর্ষ বেধে যায় হকারদের। আসরে নেমে পড়েন বারুইপুরের দু নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাপি ভদ্রও। এরই মধ্যে স্টেশন চত্বরে শুরু হয়ে যায় বোমাবাজি। আতঙ্কে হুড়োহুড়ি শুরু করে দেন যাত্রীরা। রীতিমতো তাণ্ডব শুরু হয়ে যায় স্টেশন চত্বরে। বিক্ষোভের মুখে পড়ে আক্রান্ত হন চার রেল কর্মী। মাটিতে ফেলে বেপরোয়া মারধর করা হয় রেল আধিকারিক কমল ঘোষকে। যাত্রী সুরক্ষা ও রেলে সম্পত্তি রক্ষার কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত শনিবারের মতো উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করে দেয় রেল।
যদিও উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরছেনা রেল। ভবিষ্যতে এই স্টেশন বেআইনি হকারদের দখল মুক্ত করা হবে বেল জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শনিবারের ঘটনার ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে রেলের তরফে।