অধীর ম্যাজিকে ম্লান মমতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিন নম্বরে পাঠিয়ে দিয়ে জিতে গেলেন অধীর চৌধুরী। বাস্তবে দুজনের কেউই রেজিনগর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন না। কিন্তু হুমায়ুন কবীরকে কংগ্রেস ভাঙিয়ে এনে মন্ত্রী করে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে মর্যাদার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই। আর এস পি-র সিরাজুল ইসলাম মণ্ডলকে হারিয়ে রেজিনগরে জিতলেন কংগ্রেস প্রার্থী রবিউল আলম চৌধুরী। তিন নম্বরে শেষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী, রাজ্যের প্রাণী সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী হুমায়ন কবীর। 

Updated By: Feb 28, 2013, 04:50 PM IST

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিন নম্বরে পাঠিয়ে দিয়ে জিতে গেলেন অধীর চৌধুরী। বাস্তবে দুজনের কেউই রেজিনগর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন না। কিন্তু হুমায়ুন কবীরকে কংগ্রেস ভাঙিয়ে এনে মন্ত্রী করে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে মর্যাদার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই। আর এস পি-র সিরাজুল ইসলাম মণ্ডলকে হারিয়ে রেজিনগরে জিতলেন কংগ্রেস প্রার্থী রবিউল আলম চৌধুরী। তিন নম্বরে শেষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী, রাজ্যের প্রাণী সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী হুমায়ন কবীর। 
সিরাজদৌল্লা পারেননি। অধীর চৌধুরী পারলেন। এটাই হতে পারে রেজিনগর উপনির্বাচনের ক্যাচলাইন। ২০১১-র কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন হুমায়ুন কবীর। ২০১২ দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েই মন্ত্রী। তার জেরেই উপনির্বাচন। ভোটপ্রচারে হুমায়ুন কবীরকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দিয়ে জেলা কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বুঝিয়ে দিয়েছিলেন এই ভোটযুদ্ধ আসলে তাঁর মর্যাদার লড়াই। প্রার্থী তাঁর এক মন্ত্রী, তাই মর্যাদার লড়াই ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও।
বৃহস্পতিবার ফল বেরোতেই দেখা গেল অধীর চৌধুরীর প্রার্থী রবিউল আলম চৌধুরী ৬৬,৮৭৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আরএসপি-র সিরাজুল ইসলাম মণ্ডল পেয়েছেন ৫৫,১৫৪ ভোট। আর রাজ্যের মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর ৪০,৯১২ ভোট পেয়ে তিন নম্বরে। ২০১১-র ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে জেতা হুমায়ুন কবীর পেয়েছিলেন ৭৭,৫৪২ ভোট। শতাংসের হার ৪৯.৭০। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আরএসপি-র সিরাজুল ইসলাম মণ্ডল পেয়েছিলেন ৬৮,৭৮১ ভোট (৪৪.১২%)। সংখ্যাগুলিই বুঝিয়ে দিচ্ছে কয়েক জন নেতা সঙ্গ ছাড়লেও মুর্শিদাবাদ এখনও অধীর চৌধুরীর খাসতালুকই। আর তাই পলাশীর যুদ্ধের ফলাফলের পুনরাবৃত্তি হল না রেজিনগরের উপনির্বাচনে। 

.