'দুষ্টের দমনে' এবার রণাঙ্গনে কেষ্ট
এবার তৃণমূল কর্মী সমর্থকদেরই হাঁটু ভেঙে দেওয়ার নিদান দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সকলের জন্য অবশ্য তাঁর এই ফতোয়া নয়। যারা তোলাবাজি করবে তাদের জন্য। বর্ধমানের মঙ্গলকোটে এই ফতোয়া দেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। উল্লেখ্য, গোটা বীরভূমের পাশাপাশি, দল তৃণমূলের তরফ থেকে অনুব্রতকে বর্ধমানের মঙ্গকোট অঞ্চলেও সংগঠন দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক: এবার তৃণমূল কর্মী সমর্থকদেরই হাঁটু ভেঙে দেওয়ার নিদান দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সকলের জন্য অবশ্য তাঁর এই ফতোয়া নয়। যারা তোলাবাজি করবে তাদের জন্য। বর্ধমানের মঙ্গলকোটে এই ফতোয়া দেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। উল্লেখ্য, গোটা বীরভূমের পাশাপাশি, দল তৃণমূলের তরফ থেকে অনুব্রতকে বর্ধমানের মঙ্গকোট অঞ্চলেও সংগঠন দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে বহু বার যখনই মুখ খুলেছেন 'কেষ্ট', তখনই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিগত, পঞ্চায়েত ভোটের সময় পুলিসকে বোম মারার হুমকি থেকে শুরু করে এবছরেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিরোধীদের 'জল বাতাসা' খাওয়ানোর নিদান, সবেতেই তিনি সমান সাবলীল। বিরোধীরা বারংবার সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন 'শরীরে অক্সিজেন কম ঢোকা' 'দিদির কেষ্টর' বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন- ফের হেনস্থার শিকার শিলিগুড়ির মেয়র
তবে, এবারে যে ইস্যুতে বীরভূমের কেষ্ট বাবু মুখ খুললেন তাতে অনেকেই তাঁর প্রশংসা করছেন। কারণ, তাঁর এবারের ফতোয়া দূর্ণীতির বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও বার বার দলীয় কর্মীদের দুর্ণীতি, তোলাবাজি, সিন্ডিকেট ইত্যাদির বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন ও দিচ্ছেন। তাই মনে করা হচ্ছে 'দিদি'র সেই বার্তাই 'স্নেহের ভাই' সরাসরি তাঁর মতো করে পৌঁছে দিলেন দলের নিচু তলায়। এখন দেখার কেষ্টর এই বর্তার প্রভাব কতটা পড়ে কেষ্ট গড়ে।