পঞ্চায়েত ভোটে লড়ছেন আরাবুল ইসলাম
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাঙড়ের একটি পঞ্চায়েত সমিতিতে শাসকদলের প্রার্থী আরাবুল ইসলাম। গতকাল ভাঙর দুনম্বর ব্লক বিডিও অফিসে মনোনয়পত্র জমা দেন তিনি। রেজ্জাক মোল্লার ওপর হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আরাবুল ইসলামকে প্রার্থীপদ দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই দানা বাঁধতে শুরু করেছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, বিরোধী-আক্রমণের জন্যেই কি পঞ্চায়েতে প্রার্থীপদ দিয়ে পুরস্কৃত করা হল আরাবুল ইসলামকে?
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাঙড়ের একটি পঞ্চায়েত সমিতিতে শাসকদলের প্রার্থী আরাবুল ইসলাম। গতকাল ভাঙর দুনম্বর ব্লক বিডিও অফিসে মনোনয়পত্র জমা দেন তিনি। রেজ্জাক মোল্লার ওপর হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আরাবুল ইসলামকে প্রার্থীপদ দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই দানা বাঁধতে শুরু করেছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, বিরোধী-আক্রমণের জন্যেই কি পঞ্চায়েতে প্রার্থীপদ দিয়ে পুরস্কৃত করা হল আরাবুল ইসলামকে?
৬ জানুয়ারি: ভাঙড়ে আক্রান্ত হন প্রবীণ সিপিআইএম নেতা রেজ্জাক মোল্লা। ঘটনায় কাঠগড়ায় ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। প্রবীণ বাম নেতার ওপর হামলার ঘটনার রেশ কাটার আগেই অবশ্য ফের শিরোনামে আরাবুল।
৮ জানুয়ারি: সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বামনঘাটায় আক্রান্ত সিপিআইেম কর্মীসমর্থকরা। আগুন দিয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি বাসেও। আক্রান্তরা জানিয়েছিলেন, আরাবুলের নেতৃত্বেই হামলা হয়েছিল।
কিন্তু এত ঘটনার পরও টনক নড়েনি শাসকদলের। উল্টে তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা আরাবুল ইসলামের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন।
১৬ জানুয়ারি: রেজ্জাক মোল্লার ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার হন আরাবুল। এরপরেই দলের সঙ্গে দুরত্ব বাড়তে শুরু করে তৃণমূলের অতিসক্রিয় এই নেতার।ষড়যন্ত্র করে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দলীয় নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি।
২৮ ফেব্রুয়ারি: জামিনে মুক্তি পান আরাবুল ইসলাম।
৩১ মে: ভাঙর দুনম্বর ব্লক পোলেঘাট দুনম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের সতেরো নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসনের জন্য মনোনয়ন জমা দেন আরাবুল ইসলাম। শুক্রবার বিজয়গড় বাজার লাগোয়া ভাঙর ২ নম্বর ব্লক বিডিও অফিসে গিয়ে মনোনয়পত্র জমা দেন তিনি।
এদিন আরাবুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ না খুললেও বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়েনি। রাজনৈতিক হামলা, জুলুম জবরদস্তির জেরে গত দুতিন ধরে এই ব্লক আধিকারিক অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বিরোধীপ্রার্থীরা। শুক্রবার সেবিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগও জানিয়েছেন সিপিআইএম নেতা আবদুল রেজ্জাক মোল্লা। তবে কীভাবে নির্বিঘ্নে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন তৃণমূলের এই বিতর্কিত নেতা? বিতর্ক দেখা দিয়েছে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের হয়ে তাঁকে প্রার্থী মনোনীত করাতেও। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, দুহাজার এগারোয় বিধানসভা নির্বাচনে আরাবুলের হারের পরেও কী বার্তা দিতে তাঁকে প্রার্থী করল শাসকদল? বিরোধী আক্রমণের পুরস্কার হিসেবেই কী তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী মনোনীত হয়েছে আরাবুল ইসলাম? নাকি দলের সঙ্গে দুরত্ব বাড়তে থাকা আরাবুল ইসলামকে ফের কাছে টানতেই এই সিদ্ধান্ত? তবে কী তাঁকে প্রার্থীপদ দিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব? এই নিয়ে এখন জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।