মমতার নিশানায় বিরোধীরা, ছাড় বিজেপিকে

হাওড়া লোকসভা উপনির্বাচনে শেষলগ্নের প্রচারেও বিজেপিকে আক্রমণের পথে গেলেন না তৃণমূল নেত্রী। বরং সুর আরও কয়েকগুণ চড়ালেন সিপিআইএম ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তাঁর আক্রমণের নিশানায় আজ ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রীও।  

Updated By: May 31, 2013, 09:16 PM IST

হাওড়া লোকসভা উপনির্বাচনে শেষলগ্নের প্রচারেও বিজেপিকে আক্রমণের পথে গেলেন না তৃণমূল নেত্রী। বরং সুর আরও কয়েকগুণ চড়ালেন সিপিআইএম ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তাঁর আক্রমণের নিশানায় আজ ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রীও।  
চারটি জনসভা এবং একটি রোড শো। হাওড়ায় লোকসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে প্রচারের এই দীর্ঘ সূচি খোদ তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। প্রথম দিন থেকে সিপিআইএম, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইউপিএ সরকারকেও বারবার নিশানা করেছেন তিনি। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে সেভাবে সুর চড়াতে দেখাই যায়নি তৃণমূলনেত্রীকে। শুক্রবারও তার অন্যথা হল  না। সালকিয়ায় শেষদিনের প্রচারে  বিজেপিকে আক্রমণ কার্যত এড়িয়েই গেলেন তিনি।  তবে সুর আরও চড়েছে সিপিআইএম, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।  
 
ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগেই কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণের নিশানা করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। এর পালটা হিসাবেই মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কিন্তু শেষবেলায় হঠাত্‍ কেন প্রধানমন্ত্রীকে টেনে আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তৃণমূল-বিজেপি আঁতাঁত নিয়ে যে অভিযোগ উঠছে, তা থেকে নজর ঘোরাতেই কি এই কৌশল? হাওড়া উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী দিয়েও তুলে নেওয়ার পর থেকেই এই আঁতাঁতের অভিযোগে সরব বাম, কংগ্রেস সবপক্ষ। বিরোধীদের অভিযোগ নিয়ে অবশ্য এদিনও নীরব ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তিন-চার মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের বিদায়ের ভবিষ্যতবাণী করেছেন তিনি।    

.