পৌষের শেষে কী তাহলে গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়াবে শীত?
বড়দিনে দেখা মেলেনি। নিউ ইয়ার্স ডে-তেও ছিল অধরা। তবে উত্তুরে হাওয়া সদয় থাকলে, রাজ্যে শীতবুড়োর দেখা দেখা মিলতে পারে মকর সংক্রান্তিতে। এমনই পূর্বাভাস দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
![পৌষের শেষে কী তাহলে গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়াবে শীত? পৌষের শেষে কী তাহলে গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়াবে শীত?](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2017/01/08/75489-winter-8-1-17.jpg)
ওয়েব ডেস্ক: বড়দিনে দেখা মেলেনি। নিউ ইয়ার্স ডে-তেও ছিল অধরা। তবে উত্তুরে হাওয়া সদয় থাকলে, রাজ্যে শীতবুড়োর দেখা দেখা মিলতে পারে মকর সংক্রান্তিতে। এমনই পূর্বাভাস দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
জম্মু-কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ উত্তর ভারতে ৩ রাজ্যে লাগাতার তুষারপাত। সঙ্গে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। উত্তুরে হাওয়া জোরাল হওয়ায়, শীতের আমেজ দক্ষিণবঙ্গে। পৌষের শেষে কী তাহলে গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়াবে শীত?
আরও পড়ুন সহজেই বাড়িতে কীভাবে ‘আপেল কেক’ বানাবেন শিখে নিন
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর ছিল মরসুমের শীতলতম দিন। ওই দিন কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারপর হঠাত্ হারিয়ে যায় শীত। ঝঞ্ঝার জেরে গোটা উত্তর ভারত জুড়ে যখন জাঁকিয়ে শীত পড়েছে, তখন আচমকা পারদ পতন দক্ষিণবঙ্গে। রবিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার নিরিখে মরসুমের দ্বিতীয় শীতলতম দিন।
উত্তর ভারতের পাহাড়ে তুষারপাতের পিছনে রয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে ঠান্ডা ভারী হাওয়া হুহু করে ঢুকছে উত্তর ভারতে। তার প্রভাবে বরফে ঢেকে গেছে চারদিক। দক্ষিণবঙ্গে শীত ফিরে আসার সম্ভাবনায় সেটা যদি একটা কারণ হয়, তাহলে দ্বিতীয়টি হল অন্ধ্রপ্রদেশের ওপর থাকা ঘূর্ণাবর্ত। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, দাক্ষিণাত্যের ওই ঘূর্ণাবর্ত উত্তর-পূর্ব ভারতে সরবে। তার প্রভাবে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি পর্ব মিটে যাওয়ার ৭২ ঘণ্টা পরে আরও বেশি ঠান্ডা পড়বে। আবহাওয়া দফতরের এই পূর্বাভাস বজায় থাকলে, মকর সংক্রান্তির সময় কনকনে ঠান্ডা মিলতে পারে। ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে তাপমাত্রা। তখন রেডি রাখতে হবে লেপকম্বল।