বাংলাদেশি নাগরিকদের আশ্রয়, মালদহে ধৃত আশ্রয়দানকারি ও অনুপ্রবেশকারিরা

অনুপ্রবেশের দায়ে মালদহের চাঁচল থেকে ছয় বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করল পুলিস। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার একটি বেসরকারি স্কুল থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়। বাংলাদেশি নাগরিকদের আশ্রয় দেবার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির দুই সদস্যকেও। ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। 

Updated By: Jun 3, 2015, 02:57 PM IST
বাংলাদেশি নাগরিকদের আশ্রয়, মালদহে ধৃত আশ্রয়দানকারি ও অনুপ্রবেশকারিরা

ব্যুরো: অনুপ্রবেশের দায়ে মালদহের চাঁচল থেকে ছয় বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করল পুলিস। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার একটি বেসরকারি স্কুল থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়। বাংলাদেশি নাগরিকদের আশ্রয় দেবার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির দুই সদস্যকেও। ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। 

মালদহের চাঁচল থানার কান্ডারণ গ্রাম। চোদ্দ মাস আগে গ্রামে গড়ে ওঠে একটি বেসরকারি স্কুল। স্কুলে দূর দূরান্ত থেকে পড়তে আসত শিশুরা। বাংলা, ইংরেজি, আরবীসহ একাধিক ভাষা পড়ানো হত স্কুলে। সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে স্কুলে হানা দেয় পুলিস। গ্রেফতার করা হয় ছজন শিক্ষককে। ধৃত হাসান আলি, মোজ্জামেল খালেকদার, মোহসিম শেখ, সেলিম শেখ, আজরুল রহমান, ইয়াকুব খান বাংলাদেশের ফিরোজপুরের বাসিন্দা। অনুপ্রবেশের দায়ে এদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস। একইসঙ্গে বাংলাদেশি নাগরিকদের আশ্রয় দেবার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে স্কুলেরই ম্যানেজিং কমিটির দুই সদস্য রাফাতুল্লা ও মাহাফুজকে।

গ্রামের স্কুলে পঠন পাঠন হয়। এরবেশি স্কুলটি সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানতেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে সোমবারের গ্রেফতারির পর আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। 

পঞ্চায়েত সদস্য হায়াত আলির পরিবারের জমির ওপরই গড়ে উঠেছে স্কুলটি। গ্রামের শিক্ষক রাফাতুল্লার অনুরোধে জমিতে স্কুল গড়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে স্কুলের আড়লে কী চলত তা জানতেন না বলেই দাবি করেছেন হায়াত আলি। 

মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে ধৃতদের জেল হেযফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।  শুধুমাত্র অনুপ্রবেশের মামলা রুজু করেই কেন হাত গুটিয়ে নিল পুলিস? শিমুলিয়ার মাদ্রাসাতে জঙ্গি প্রশিক্ষণের নজির রয়েছে। এক্ষেত্রে কেন ধৃতদের  হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল না? ইতিমধ্যেই এইসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

.