কীটনাশকের হাত থেকে দেশি ধানের বীজ বাঁচাতে উদ্যোগী হলেন বাঁকুড়ার কৃষি গবেষক

Updated By: Jan 13, 2015, 10:29 AM IST
কীটনাশকের হাত থেকে দেশি ধানের বীজ বাঁচাতে উদ্যোগী হলেন বাঁকুড়ার কৃষি গবেষক

দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষ। হু হু করে বাড়ছে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার। এর জেরে হারিয়ে যেতে বসেছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি ধানের বীজ। এমনই কিছু ধানের প্রজাতিকে বাঁচিয়ে রাখতে উদ্যোগী বাঁকুড়ার রনবহাল গ্রামের এক কৃষি গবেষক।  

পেশায় বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজের উদ্ভিদবিদ্যার পার্ট টাইম অধ্যাপক। নেহাতই গবেষণার জন্য ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন দেশি ধানের বীজ সংগ্রহ করতে শুরু করেছিলেন অঞ্জন সিংহ। নানা জেলায় ঘুরে ইতিমধ্যে তাঁর হাতে এসে পৌছেছে ১৪৮ রকমের বিরল প্রজাতির ধানের বীজ। কিন্তু শুধু তো সংগ্রহ করলেই কাজ শেষ হয় না। প্রতি বছর ওই বীজগুলি চাষ করে, তা থেকে বীজ সংগ্রহ করে ফের তা সংরক্ষণ করতে হয়। এ জন্য নিজের প্রায় দু বিঘে জমিতে প্রতি বছর ছোট ছোট ভাগ করে, ওইসমস্ত দেশি বীজের চাষ করেন এই গবেষক।

বীজগুলির জিনগত পরিবর্তন যাতে না ঘটে, সেই জন্য সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে এই চাষ করা হয়। গবেষকের দাবি, তাঁর সংগ্রহে যেমন রয়েছে কেলাশ, ভাদই-এর মতো কম জলে চাষ করা যায় এমন ধান-- তেমনই রয়েছে অত্যন্ত বেশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন আসনলয়া, রঘুশাল, লক্ষ্মণশালের মতো ধানের প্রজাতিও। দেশি ধানের নানা প্রজাতির বিভিন্ন উত্‍কৃষ্ট গুণ সম্বলিত জিনের মিশ্রণ ঘটিয়ে গবেষকরা তৈরি করেন নানা উন্নত প্রজাতির ধান। দেশি ধানের বীজগুলি হারিয়ে গেলে ভবিষ্যতে আর কোনও নতুন প্রজাতি কীভাবে তৈরি হবে? এই আশঙ্কা থেকেই বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামে বসে সংরক্ষণের কাজে দিনরাত এক করছেন তরুণ এই গবেষক।

 

.