আর বাঁচা হল না 'কালো মেয়ের'
যাবতীয় গঞ্জনার অবসান। পাঁচ দিন যমে মানুষে টানাটানির পর আজ জীবনযুদ্ধে হার মানল 'কালো মেয়েটি'। গভীর রাতে তমলুক জেলা হাসপাতালে মৃত্যু হল হেড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ব্রততী দাসের। এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের জঙ্গিপুর থানার চণ্ডীপুরে। গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
ওয়েব ডেস্ক: যাবতীয় গঞ্জনার অবসান। পাঁচ দিন যমে মানুষে টানাটানির পর আজ জীবনযুদ্ধে হার মানল 'কালো মেয়েটি'। গভীর রাতে তমলুক জেলা হাসপাতালে মৃত্যু হল হেড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ব্রততী দাসের। এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের জঙ্গিপুর থানার চণ্ডীপুরে। গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
বাবা রোজই বলতেন, মরে যা। তাতে প্ররোচনা দিতেন জামাইবাবুও। কারণ একটাই। মেয়ের গায়ের রং কালো। তাই তার নাকি বিয়ে হবে না! পরিবারের লোকজনের হাতে জুটছিল নিত্য লাঞ্ছনা-গঞ্জনা। মানসিক অবসাদে শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষিকা ব্রততী।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ভর্তি করা হয় তমলুক জেলা হাসপাতালে। সেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, একশো শতাংশ বার্ন কেস এটি। চিকিত্সার জন্য তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু কাল, শনিবার তাঁকে তমলুকে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু শেষ অবধি আর বাঁচা হল না 'কালো মেয়ের'।