বিস্কুটের প্যাকেট থেকে উদ্ধার হওয়া শিশুই এখন নয়নের মণি
টম অ্যান্ড জেরিকে নিয়ে দারুণ ব্যস্ত হাসপাতালের ডাক্তারবাবু। চোখের আড়াল করছেন না নার্সরা। কোনও হেঁয়ালি নয়। বসিরহাটের হাসপাতালে এখন এটাই বাস্তব। জন্মের পরেই হয়ে গিয়েছিল সওদার পণ্য। শাঁসালো খদ্দের আর চকচকে চোখের সওদাগর, দুইয়ের মাঝে পড়ে বিস্কুটের প্যাকেটে চালান হয়ে যাচ্ছিল দুজন।
ওয়েব ডেস্ক: টম অ্যান্ড জেরিকে নিয়ে দারুণ ব্যস্ত হাসপাতালের ডাক্তারবাবু। চোখের আড়াল করছেন না নার্সরা। কোনও হেঁয়ালি নয়। বসিরহাটের হাসপাতালে এখন এটাই বাস্তব। জন্মের পরেই হয়ে গিয়েছিল সওদার পণ্য। শাঁসালো খদ্দের আর চকচকে চোখের সওদাগর, দুইয়ের মাঝে পড়ে বিস্কুটের প্যাকেটে চালান হয়ে যাচ্ছিল দুজন।
নোংরা খেলাটা ধরে ফেলেছিলেন পুলিসকাকুরা। একুশে নভেম্বর সন্ধেয় বাদুড়িয়ার বাগজোলায় সোহান নার্সিংহোমে হানা দিয়ে দুই শিশুকে উদ্ধার করেন সিআইডির গোয়েন্দারা। তারপর ঠাঁই হয় বাদুড়িয়া জেলা হাসপাতালের SNCU ওয়ার্ডে। এক সপ্তাহ পেরোয়নি। এখন তারাই হয়ে উঠেছে সবার নয়নের মণি।
জন্মের পর নবজাতক প্রথম দেখে পৃথিবীর আলো। তারপর প্রিয়জনের মুখ। কিন্তু এদের সেই ভাগ্য ছিল না! নতুন প্রাণে মৃতের স্টিকার সেঁটে দিয়েছিল পাচারকারীরা। সরিয়ে ফেলেছিল অন্যত্র। জীবন হাতড়াতে হাতড়াতে সেখান থেকে ফিরে আসা! ছোট্ট শরীরে কত ধকলই না গিয়েছে! তাই জেলা হাসপাতালের SNCU ওয়ার্ডে অনাত্মীয়ই হয়ে উঠেছে পরম আত্মীয়। নিজের সন্তান স্নেহে দুই শিশুর যত্ন করছেন নার্স আর ডাক্তারবাবুরা। নতুন প্রাণে চিরন্তন মমতার ছায়া, শত ক্ষত কষ্ট থেকে আগলে রেখেছে টম অ্যান্ড জেরিকে।