সন্ন্যাসিনী ধর্ষণে উত্তপ্ত রানাঘাট জ্বলে উঠল মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই, 'গো ব্যাক সিএম' স্লোগানে এল জবাব
উত্তপ্ত রানাঘাটে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। তাকে দেখেই 'গো ব্যাক সিএম', 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান দিতে থাকে স্কুলের পড়ুয়া, অভিভাবক এমনকী স্থানীয় বাসিন্দারা। প্ল্যাকার্ড হাতে দলে দলে বিক্ষোভকারীদের মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের ডিজি জিএমপি রেড্ডি। পুলিস বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ করতে অনুরোধ করেন চার্চ বিশপ। আটকে দেওয়া হয়েছে রাস্তা।
![সন্ন্যাসিনী ধর্ষণে উত্তপ্ত রানাঘাট জ্বলে উঠল মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই, 'গো ব্যাক সিএম' স্লোগানে এল জবাব সন্ন্যাসিনী ধর্ষণে উত্তপ্ত রানাঘাট জ্বলে উঠল মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই, 'গো ব্যাক সিএম' স্লোগানে এল জবাব](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2015/03/16/35936-goback.jpg)
ওয়েব ডেস্ক: উত্তপ্ত রানাঘাটে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। তাকে দেখেই 'গো ব্যাক সিএম', 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান দিতে থাকে স্কুলের পড়ুয়া, অভিভাবক এমনকী স্থানীয় বাসিন্দারা। প্ল্যাকার্ড হাতে দলে দলে বিক্ষোভকারীদের মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের ডিজি জিএমপি রেড্ডি। পুলিস বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ করতে অনুরোধ করেন চার্চ বিশপ। আটকে দেওয়া হয়েছে রাস্তা।
এ দিন প্রথমে রানাঘাটে যেই কনভেন্টে বৃদ্ধা সন্ন্যাসিনীর ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সেখান থেকে যান হাসপাতালে। সেখানে সন্ন্যাসিনীদের সঙ্গে কথা বলার পর ফেরার পথে হাসপাতালের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে বিক্ষোভের মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। ঘটনার পর থেকে ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে না পারায় প্রশাসনের ওপর ক্ষুব্ধ গোটা রানাঘাট। সিসিটিভই ফুটেজ সত্ত্বেও অপরাধীদের ধরতে পারছে না পুলিস তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
রাণাঘাটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ৭১ বছর বয়সী সন্ন্যাসিনী জানিয়েছেন ''আমার হৃদয় ভেঙে গেছে।'' রবিবার গোটা দিনটা যতটুকু কথা বলতে পেরেছেন ততবার তিনি শুধু স্কুল ও স্কুল পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন। যখন তিনি বলেছেন তার উপর নির্মম যৌন অত্যাচারকরা ধর্ষকদের মনে মনে তিনি ক্ষমা করে দিয়েছেন তখন চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তাঁকে দেখতে আশা শুভানুধ্যায়ীরা। ওই স্কুলের এক পড়ুয়ার অভিভাবক জানিয়েছেন ''ওনার বিশাল হৃদয়। তাই উনি এই ধরণের কথা বলতে পারছেন। কিন্তু আমরা এই জঘন্যতম ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।''