প্রতিশ্রুতিই প্রাধান্য পেল মুখ্যমন্ত্রীর লালগড় সফরে

মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম লালগড় সফরে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে উন্নয়নমুলক পরিকল্পনা রূপায়ণ, অন্যদিকে জেলার আইনশঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি। লালগড়ে সফরে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে মূলত এই ২টি বিষয়েই জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Updated By: Apr 24, 2012, 05:44 PM IST

মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম লালগড় সফরে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে উন্নয়নমুলক পরিকল্পনা রূপায়ণ, অন্যদিকে জেলার আইনশঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি। লালগড়ে সফরে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে মূলত এই ২টি বিষয়েই জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবারের সফরে একগুচ্ছ কর্মসূচির মধ্যেই ছিল জেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। মঙ্গলবার সকাল ১১ টা নাগাদ মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে শুরু হয় বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক, এসপিসহ জেলা প্রশাসনের কর্তারা সকলেই উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠকে আমন্ত্রণ পাননি বাম পরিচালিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য। বৈঠকে মুলত মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত উন্নয়নমুলক প্যাকেজগুলির কাজ কতটা এগিয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি জেলার আইনশঙ্খলা পরিস্থিতি, বিশেষত জঙ্গলমহলের অবস্থা এবং নতুন করে যৌথবাহিনীর অভিযান হবে কিনা, তা নিয়েও কথা হয় বৈঠকে। বৈঠকে জঙ্গলমহলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্যাকেজ রূপায়ণে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
 
মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচীর মধ্যে ছিল ডেবরায় হরিমতী উচ্চবিদ্যালয়ের হোস্টেলের শিলান্যাস। এই হোস্টেলের প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছিল বাম আমলে। জেলা পরিষদ এই হোস্টেলের জন্য দশ লক্ষ টাকাও দিয়েছে। তবে শিলান্যাস অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের কোনও সদস্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। লালগড় ও ডেবরায় একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানেও ঝাড়গ্রাম এবং মেদিনীপুরের বাম সাংসদদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। যদিও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী।

.