তিন ভাইকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে পুলিস কী ব্যবস্থা নিচ্ছে জানতে চাইল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন

বীরভূমের লাভপুরে একই পরিবারের তিন ভাইকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা পুলিস, তা জানতে চেয়ে জেলা পুলিস সুপারকে চিঠি পাঠাল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই উত্তর দিতে বলা হয়েছে।

Updated By: Oct 18, 2013, 10:12 AM IST

বীরভূমের লাভপুরে একই পরিবারের তিন ভাইকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা পুলিস, তা জানতে চেয়ে জেলা পুলিস সুপারকে চিঠি পাঠাল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই উত্তর দিতে বলা হয়েছে।
দু`হাজার দশ সালের তেসরা জুন বীরভূমের লাভপুর থানার দাঁড়কা গ্রামপঞ্চায়েতের বুনিয়াডাঙা গ্রামে নিজের বাড়িতে আলোচনার জন্য কুটুন শেখ, ধানু শেখ, তুরুপ শেখ ও তাঁদের অন্যান্য ভাইদের ডেকে পাঠান তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। অভিযোগ, সেখানেই অন্যান্য ভাইদের সামনে তিন ভাইকে পিটিয়ে মারেন ওই বিধায়ক। সেদিন মণিরুলবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন সানোয়ার শেখ। তাঁর চোখের সামনেই ঘটে গোটা ঘটনা।
 
চলতি বছরের বিশে জুলাই সাঁইথিয়ায় এক জনসভায় গর্বের সঙ্গে খুন করার কথা স্বীকারও করেছিলেন মণিরুল ইসলাম।
 
ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী হওয়ায় মণিরুল ইসলামসহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে লাভপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সানোয়ার শেখ। কিন্তু অভিযুক্তরা শাসকদলের নেতা হওয়ায় পুলিস তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি বলে অভিযোগ সানোয়ার শেখের।  
 
উল্টে ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী হওয়ায় স্বপরিবারে তিনি এখন গ্রামচাড়া। খুনের অভিযোগ তুলে নিতে তাঁকে বারংবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ সানোয়ার শেখের। শুধু অভিযুক্তরাই নয়। তাঁর দাবি, এই কাজে খোদ পুলিসই দুষ্কৃতীদের মদত দিচ্ছে।
তবে লাভপুরের বিধায়ক এসব অভিযোগের তোয়াক্কা করেন না। বরং তাঁর দাবি, যাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে একদা থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাঁরা এখন সেচ্ছায় অভিযোগ তুলে নিতে চাইছে। আর জনসভার বক্তব্য প্রসঙ্গে মণিরুল ইসলামের সাফাই, সেসব সাংবাদিকদের কারসাজি।
 

.