বন্যার পর পশ্চিমমেদিনীপুর জুড়ে ডায়রিয়ার আতঙ্ক, একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পুরুলিয়া

পশ্চিমমেদিনীপুরে ডায়রিয়ার মৃত্যু হল দু জনের। মৃতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। দূষিত জমা জলে বাড়ছে রোগের প্রকোপ। তীব্র পানীয় জল কষ্টে একের পর এক গ্রাম ছাড়ছেন বাসিন্দারা। বিভিন্ন নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। জলের তলায় বাড়ি, জমি। নলকূপ, পানীয় জলের কুয়ো। ফলে দ্রুত ছড়াচ্ছে জল বাহিত বিভিন্ন রোগ।

Updated By: Oct 18, 2013, 09:01 AM IST

পশ্চিমমেদিনীপুরে ডায়রিয়ার মৃত্যু হল দু জনের। মৃতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। দূষিত জমা জলে বাড়ছে রোগের প্রকোপ। তীব্র পানীয় জল কষ্টে একের পর এক গ্রাম ছাড়ছেন বাসিন্দারা। বিভিন্ন নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। জলের তলায় বাড়ি, জমি। নলকূপ, পানীয় জলের কুয়ো। ফলে দ্রুত ছড়াচ্ছে জল বাহিত বিভিন্ন রোগ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলপাহাড়ির রঙপুর, বাঁশগড়, নুনিয়াডাঙা, কেচেন্দা, বরশল, রাজদহ গ্রামে ডায়রিয়ার আক্রান্ত অসংখ্য মানুষ। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা রাজদহ গ্রামের। এই গ্রামের প্রায় ষাটজন আক্রান্ত। ৪০জন ভর্তি হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার কালিপদ সর্দার নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। বাকি গ্রাম গুলি মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা একশো ছাড়িয়েছে।
 
আক্রান্তদের প্রাথমিকভাবে বেলপাহাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতররা ভর্তি ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে। সেখানেই বৃহস্পতিবার বড়শল গ্রামের সোমবারি সিং নামে এক ছয় বছরের বাচ্চার মৃত্যু হয়। এলাকায় মেডিক্যাল ক্যাম্পের দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা।
 
বিভিন্ন গ্রামের কুয়োগুলিতে নোংরা জল ঢুকে যাওয়ায় তীব্র পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অনেকেই গ্রাম ছেড়ে যাচ্ছেন।
 
পরিস্থিতি আয়ত্তে রয়েছে বলে দাবি করেছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু বাস্তব ছবি তা নয় বলেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। ডায়রিয়ার সঙ্গে ছড়াচ্ছে আন্ত্রিকও। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার বিভিন্ন জায়গায় আন্ত্রিকে প্রায় দুশো জন আক্রান্ত। এদের মধ্যে শিশু রয়েছে। 
ষ্টিতে বেহাল পুরুলিয়ার জনজীবন। সরকারি হিসেবে এপর্যন্ত জেলায় পুরোপপুরি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা আড়াই হাজার। আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা দেড় হাজার। পাঁচ দিন কেটে গেলেও ত্রাণ না মেলায় ক্ষোভ চরমে। অভিযোগ উঠেছে সরকারি ঔদাসীন্যের।
একটানা বৃষ্টিতে উত্‍সবের আনন্দ অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছিল পুরুলিয়ায়। তার রেশ এখনও কাটেনি। বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা এখন পঞ্চায়েত আর ব্লক অফিসের সামনে ভিড় করছেন সামান্য ত্রিপল, প্লাস্টিক আর চাল-গমের জন্য। তবে এসবের যোগান থাকলেও, দুর্গতদের কাছে সেগুলো ঠিকমত পৌঁছোচ্ছে না বলেই অভিযোগ।
 
প্রশাসনের দাবি, ত্রাণ সামগ্রীর অভাব নেই। দুর্গতদের ত্রাণ পৌঁছে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট এসডিও, বিডিও-দের।
 

.