নিখোজ আবাসিককে আজ আনা হচ্ছে, মিলল নৃশংসতার প্রমাণ

গুড়াপের হোম থেকে স্থানান্তরের সময় নিখোঁজ হয়ে যাওয়া আবাসিককে আজ আলিপুরদুয়ার থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে। আলিপুরদুয়ার মহকুমা আদালতের অনুমতি মেলার পর হোমকাণ্ডের তদন্তে উত্তরপাড়া থানার পুলিস বিকেলে তাঁকে নিয়ে রওনা দিচ্ছে।

Updated By: Jul 20, 2012, 02:33 PM IST
গুড়াপের হোম থেকে স্থানান্তরের সময় নিখোঁজ হয়ে যাওয়া আবাসিককে আজ আলিপুরদুয়ার থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে। আলিপুরদুয়ার মহকুমা আদালতের অনুমতি মেলার পর হোমকাণ্ডের তদন্তে উত্তরপাড়া থানার পুলিস বিকেলে তাঁকে নিয়ে রওনা দিচ্ছে। ১৩ই জুলাই নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ওই আবাসিকের খোঁজ মিলেছিল আলিপুরদুয়ারে। আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হয়। পরীক্ষায় তাঁর শরীরে গর্ভনিরোধক ব্যবহারের চিহ্ন মিলেছে। গুড়াপের হোমে মহিলাদের ওপর যে শারীরিক নির্যাতন হত, ওই আবাসিককে পরীক্ষা করার পর সে বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ হাতে পেল সিআইডি। তাঁর যে বক্তব্য সিআইডি পেয়েছে, তাতেও শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। গুড়াপ কাণ্ডে প্রথম থেকে যে অভিযোগ উঠে আসছিল, অবশেষে সে বিষয়ে নিশ্চিত হল সিআইডি।

এর আগে গুড়াপের দুলাল স্মৃতি সংসদের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরেই এই হোম থেকে আবাসিকদের অন্যত্র পাঠানোর কাজ শুরু হয়। সেই সময়ই পুলিস হেফাজত থেকে পালিয়ে যান এক আবাসিক। অবশেষে আলিপুরদুয়ারে তার সন্ধান মেলে। আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তার বক্তব্যে দুলাল স্মৃতি সংসদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ উঠে এসেছে। গুড়াপের ওই হোমে থাকা আবাসিকদের মধ্যে অনেকের থেকেই সুস্থ এবং স্বাভাবিক এই আবাসিক। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি গুড়াপের এই হোমে ছিলেন। তাই তার অভিযোগের যেমন গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি চিকিত্‍সকদের পরীক্ষায় পাওয়া গর্ভনিরোধক ব্যবহার গোয়েন্দাদের সেই সন্দেহকে আরো দৃঢ় করেছে। এই তথ্যপ্রমাণের পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুন ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের পর এবার ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬ ধারা অনুসারে ধর্ষণের অভিযোগও আনতে চলেছে।

.