চাকদার ডাকাতরানির বাড়ি থেকে উদ্ধার ৩২ কেজি সোনা, পিস্তল-কার্তুজ
চম্বল নয়। ডাকাতরানি এবার চাকদায়। এক সোনার দোকানে ডাকাতির তদন্তে নেমে পুলিস পৌছে যায় সেই ডাকাতরানির ডেরায়। মাটির বাড়িতে ড্রাম ভর্তি সোনার গয়না। ওজন করতেই দেখা যায় বত্রিশ কেজি। চোখ কপালে ওঠে গোয়েন্দাদের। মহিলাকে চেপে ধরতেই বেরিয়ে আসে ডাকাতচক্রের হদিশ।
ওয়েব ডেস্ক: চম্বল নয়। ডাকাতরানি এবার চাকদায়। এক সোনার দোকানে ডাকাতির তদন্তে নেমে পুলিস পৌছে যায় সেই ডাকাতরানির ডেরায়। মাটির বাড়িতে ড্রাম ভর্তি সোনার গয়না। ওজন করতেই দেখা যায় বত্রিশ কেজি। চোখ কপালে ওঠে গোয়েন্দাদের। মহিলাকে চেপে ধরতেই বেরিয়ে আসে ডাকাতচক্রের হদিশ।
ডাকাতরানি। নামটা শুনলে একজনের কথাই মনে আসে। তিনি হলেন ফুলন দেবী।
সময়ের সঙ্গে কমেছে খুল্লমখুল্লা ডাকাতির দাপট। বদলেছে লুঠপাটের ধরন।
ডাকাতরানি নামটাও আজকাল আর শোনা যায় না। কিন্তু রবিবারের অলস দুপুরে হঠাত্ উঠে এল সেই নাম।
উত্তর চব্বিশ পরগনার কাঁচড়াপাড়ায় একটি সোনার দোকানে ডাকাতির তদন্ত শুরু করেছিল পুলিস। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ডাকাতি হয়েছে এক মহিলার নির্দেশে। সেইমতো নদিয়ার চাকদার চণ্ডীপুরে একটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিস। ধরা পড়ে পূর্ণিমা দাস নামের এক মহিলা। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৩২ কেজি সোনা।
পুলিসের দাবি, এই পূর্ণিমাই ডাকাতদের মক্ষিরানি। নিজের বাড়িতে বসে অপারেশন সারত সে। উত্তরপ্রদেশ থেকে এরাজ্যে আসা আটজনের একটি ডাকাতদলকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিল পূর্ণিমা। ডাকাতরানি পূর্ণিমাই বলে দিত কোন জেলার কোথায় গিয়ে কীভাবে ডাকাতি করতে হবে। তার ব্লুপ্রিন্ট ধরেই কাজ সারত উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা দুষ্কৃতীরা। পূর্ণিমার বাড়ি থেকে ছটি পিস্তল, ৪৫ রাউন্ড কার্তুজ সহ ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিস।
পূর্ণিমা দাসকে সাতদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাকে জেরা করে শাগরেদদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। গোয়েন্দাদের অনুমান, মক্ষিরানি ধরা পড়ায় ফের নিজেদের রাজ্যেই গা ঢাকা দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের দুষ্কৃতীরা।