দিল্লির আপ ঝড় বনগাঁয় প্রভাব ফেলবে? হিসাবে ব্যস্ত সব পক্ষ
দিল্লিতে আপ-ঝড়। ধরাশায়ী বিজেপি। বনগাঁ উপনির্বাচনে সেই ঝড়ের প্রভাবে কি ওলোটপালট হবে সমীকরণ? বিজেপির বিশ্বাস, ঝড় থেমে গেছে। তৃণমূলের দাবি, তাদের জয় শুধু ঘোষণার অপেক্ষা। এরই মধ্যে নতুন করে জয়ের আশা দেখতে শুরু করেছে বামেরা।
ওয়েব ডেস্ক: দিল্লিতে আপ-ঝড়। ধরাশায়ী বিজেপি। বনগাঁ উপনির্বাচনে সেই ঝড়ের প্রভাবে কি ওলোটপালট হবে সমীকরণ? বিজেপির বিশ্বাস, ঝড় থেমে গেছে। তৃণমূলের দাবি, তাদের জয় শুধু ঘোষণার অপেক্ষা। এরই মধ্যে নতুন করে জয়ের আশা দেখতে শুরু করেছে বামেরা।
জলে দুধ না দুধে জল-
হঠাত্ এ কথা কেন? প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে একবার গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক। প্রায় এক লক্ষ ৪৬ হাজার ভোটে জয়ী হন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। রেকর্ড জয়। একমাত্র বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয় বামেরা। বাকি ছটা বিধানসভা আসনই ছিল তৃণমূলের দখলে। এরমধ্যে কল্যাণী বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল জেতে প্রায় ৫০ হাজার ভোটে। বাকি কেন্দ্রগুলোতেও কোনওটায় মার্জিন ছিল তিরিশ হাজার, কোনওটায় তার কাছকাছি। ভোটের পরেই হারের ব্যবধান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ওঠে সন্ত্রাসের অভিযোগও।
শুধু বিরোধীদের অভিযোগ নয়, দুধে জল না জলে দুধ, তা নিয়ে চর্চা এখন তৃণমূলেই।
বনগাঁ লোকসভা উপনির্বাচনে মূল লড়াই তিন প্রার্থীর।
সিপিআইএমের দেবেশ দাস, অ্যাডভানটেজ - প্রাক্তন মন্ত্রী, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, পরিচিত মুখ।
ডিস অ্যাডভানটেজ- সাংগঠনিক দুর্বলতা।
তৃণমূল প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুর
অ্যাডভানটেজ-সদ্য প্রয়াত কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের স্ত্রী। মতুয়া সঙ্ঘে পরিচিত নাম।
ডিস অ্যাডভানটেজ- রাজনীতিতে একেবারেই আনকোরা। দলেও সর্বজনগ্রাহ্য নন।
বিজেপি প্রার্থী সুব্রত ঠাকুর-অ্যাডভানটেজ-দীর্ঘদিনের সক্রিয় রাজনীতিক। পাশে বাবা।
ডিস অ্যাডভানটেজ-মাথায় বিশ্বাসঘাতকতার তকমা।
গত লোকসভা ভোটে তৃণমূল পেয়েছিল ৪১ শতাংশ ভোট। সারদা কেলেঙ্কারির জেরে এবার কমতে পারে ভোট। বামফ্রন্ট-গতবার পেয়েছিল ৩২ শতাংশ ভোট। সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে ওই ভোট ধরে রাখাটা বামদের কাছে চ্যালেঞ্জ। বিজেপি গতবার পেয়েছিল ১৬ শতাংশ ভোট। এবার বিজেপির ভোট বাড়বে , কিন্তু কতটা।
বিজেপিকে জিততে হলে তৃণমূল ও বামেদের বহু ভোট টানতে হবে। তৃণমূলকে জিততে হলে নিজেদের ভোট ধরে রাখলেই চলবে। তৃণমূল-বিজেপির ভোট কাটাকাটির ফায়দা ঘরে তুলতে পারে বামেরা।
কিন্তু দিল্লির আপ ঝড়ের প্রভাব বনগাঁয় পড়বে না তো? সে প্রশ্ন একেবারেই উডিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।