চৈতালি ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি জেলায় জেলায়

পর পর কালবৈশাখীর জেরে বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় কয়েক হাজার মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রচুর গবাদি পশুরও মৃত্যু হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়াতে ১২ হাজার মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মালদহের আম চাষে প্রায় ২ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Updated By: Apr 7, 2012, 08:12 PM IST

পর পর কালবৈশাখীর জেরে বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় কয়েক হাজার মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রচুর গবাদি পশুরও মৃত্যু হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়াতে ১২ হাজার মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মালদহের আম চাষে প্রায় ২ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কালবৈশাখী ও লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বিভিন্ন জেলা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। শুক্রবার রাত থেকে ঝড় ও বৃষ্টিতে প্রায় কয়েক হাজার মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবা-সহ সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবথেকে বেশি। অনেক জায়গায় গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। খুঁটি উপড়ে বিস্তীর্ণ এলাকার বিদ্যুত্‍ ও টেলি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সুন্দরবনের বেশ কয়েকটি নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন বিশেষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। শিলা বৃষ্টিতে ফসল ও সব্জির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
 
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়াতে কয়েক ঘণ্টার ঝড়ে প্রায় ১২ হাজার মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ হাজার মাটির বাড়ি। প্রায় ১১ হাজার ৯৫ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।
 
বিপর্যয়ের পর ত্রাণ না-মেলায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে মালদহের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রতিবাদে জেলার বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করা হয়। ঝড়ের জেরে মালদার বিস্তীর্ণ অংশও বিদ্যুত্‍হীন হয়ে পড়ে। শনিবারই বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান সাংসদ মৌসম বেনজির নূর।
  
মুর্শিদাবাদের রানিনগর, লালগোলা, ভগবানগোলার চর এলাকাতেও ঝড়ের দাপটে মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে ফসলেরও।
 

.